img

পিছিয়ে পড়ার পর দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়াল আবাহনী লিমিটেড। নবাগত বসুন্ধরা কিংসের স্বপ্ন গুঁড়িয়ে ফেডারেশন কাপের শিরোপা ধরে রাখল জাকারিয়া বাবুর দল। গতকাল বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে সানডে চিজোবা ও কেরভেন্স ফিলস বেলফোর্টের গোলে ৩-১ ব্যবধানে জিতেছে আবাহনী। ফেডারেশন কাপে টানা তৃতীয় এবং সব মিলিয়ে একাদশ শিরোপা জিতল আবাহনী। মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবকে (১০টি) পেছনে ফেলে এককভাবে সবচেয়ে বেশিবারের চ্যাম্পিয়ন এখন ধানমণ্ডির দলটি। খবর বিডিনিউজ’র।
প্রথমার্ধে বলের নিয়ন্ত্রণে এগিয়ে থাকলেও কাঙ্ক্ষিত গোল পাচ্ছিল না আবাহনী। পঞ্চম মিনিটে প্রতিআক্রমণ থেকে বসুন্ধরা কিংসের কোস্টা রিকার ফরোয়ার্ড দেনিয়েল কলিনদ্রেস সোলেরার শট আটকে দলটির ত্রাতা ডিফেন্ডার ওয়ালী ফয়সাল।
সোলেরাকে ফাউল করে উল্টো চোট পাওয়া তপু বর্মন ১৬তম মিনিটে মাঠ ছাড়লে ধাক্কা খায় আবাহনী। তার বদলে টুটুল হোসেন বাদশাকে নামান আবাহনী কোচ। ২১তম মিনিটে এগিয়ে যায় বসুন্ধরা। আলমগীর রানার লব শহীদুল আলম সোহেল ফিস্ট করার পর ডি-বক্সের মধ্যে পেয়ে একটু সময় নিয়ে বাঁ পায়ের শটে প্রতিযোগিতায় নিজের পঞ্চম গোলটি করেন রাশিয়া বিশ্বকাপ খেলা সোলেরা। ২৫তম মিনিটে ওয়ালীর কর্নারে গোলমুখ থেকে হাইতির ফরোয়ার্ড বেলফোর্টের হেড ফেরান বসুন্ধরার গোলরক্ষক আনিসুর রহমান জিকো।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকে আক্রমণের ধার বাড়ায় আবাহনী। ৪৬তম মিনিটে নাসিরউদ্দিনকে কাটিয়ে চিজোবার বাঁ পায়ের শট ক্রসবারে লেগে ফিরে। তবে ৫০তম মিনিটে বাঁ দিক থেকে রায়হানের থ্রো ইনের পর দূরের পোস্টে থাকা চিজোবা নিখুঁত টোকায় জাল খুঁজে নিয়ে দলকে সমতায় ফেরান।
চিজোবা-সোহেল রানার মিলিত প্রচেষ্টায় ৭৮তম মিনিটে এগিয়ে যায় শিরোপাধারীরা। একাধিক ডিফেন্ডারকে ছিটকে দিয়ে সোহেলের ডি-বক্সের একটু ওপর থেকে বাড়ানো বল ডান পায়ের প্লেসিং শটে জালে জড়িয়ে দেন চিজোবা। এ গোলেই ফেডারেশন কাপের সর্বোচ্চ গোলদাতা (৬টি) হন নাইজেরিয়ার এই ফরোয়ার্ড। দুই মিনিট পর ওয়ালীর কর্নার থেকে বেলফোর্ট হেডে কাছের পোস্ট দিয়ে জাল খুঁজে নিলে আবাহনীর জয় অনেকটাই নিশ্চিত হয়ে যায়।
শেষ দিকে আক্রমণে ওঠা চিজোবাকে নাসিরউদ্দিন কনুই দিয়ে গুঁতো মারলে উত্তেজনা ছড়ায় দুই পক্ষের মধ্যে। চোট পেয়ে চিজোবা মাঠ ছাড়েন; বদলি নামেন আরেক ফরোয়ার্ড নাবীব নেওয়াজ জীবন।
এরপর খেলা শুরু হতে না হতেই ফের মারমুখী হয় দুই পক্ষ। বলের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে লড়াইয়ের এক পর্যায়ে বসুন্ধরার সুশান্ত ত্রিপুরা ও আবাহনীর জীবন পরস্পরকে আঘাত করেন। এরপরই দৌড়ে এসে ত্রিপুরাকে পেছন থেকে পিঠে লাথি মারেন আবাহনীর মামুন মিয়া। এরপর মামুনকে লাথি মারেন বসুন্ধরার তৌহিদুল আলম সবুজ। চার জনকেই লালকার্ড দিয়ে রেফারি বের করে দিলে বাকিটা সময় ৯ জন করে খেলতে হয় দুই দলকে।

এই বিভাগের আরও খবর