img

কাঠকয়লার আঠালো গুণ আছে যা দাগ সৃষ্টিকারী উপাদান যেমন- চা, কফি, মদ ও প্লাকের সাথে যুক্ত হয়ে এগুলোকে দাঁত থেকে বের করে নিয়ে আসে এবং থুতুর সাথে এটি বের হয়ে আসে। এক ডেন্টিস্ট বলেন যে, “আমি যতদিন না এটা যাচাই করে দেখেছি ততদিন পর্যন্ত অতিরিক্ত সন্দেহ প্রবণ ছিলাম, এটি বেশ নোংরা কিন্তু এটি দাগ ও প্লাক দূর করতে পারে যা আপনার দাঁতকে সাদা রাখে”।

স্বাদ গন্ধহীন কাঠকয়লার গুঁড়া গিলে ফেললেও কোন সমস্যা নেই। কাঠকয়লা ট্যাবলেট আকারে পাওয়া যায়। ১/২টি কাঠকয়লার ট্যাবলেট ভেঙ্গে এর ভেতরের গুঁড়া একটি কাপে নিন। এর মধ্যে পানি মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। এবার এই পেস্টটি দাঁতের মধ্যে লাগিয়ে হালকা ভাবে ঘষুন। ৩ মিনিট পর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

কাঠকয়লা শুধুমাত্র দাঁতকে সাদাই করেনা বরং শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ বের করে দেয়। কয়লা দিয়ে দাঁত মাজার সময় কয়লা দাঁতের উপরিভাগের বিষ শোষণ করে নেয়। যদি আপনি কয়লা গিলে ফেলেন তাহলে আপনার শরীর সেটা শোষণ করবেনা। এটি গ্যাস্ট্রোইন্টেস্টাইনাল সিস্টেমে চলে যায়, এটা আপনার জন্য খুবই উপকারী। এটি শরীরের মধ্য দিয়ে টক্সিন ও রাসায়নিক উপাদান যাওয়ার সময় তাদেরকে আকৃষ্ট করে যতক্ষণনা পরিপাক তন্ত্রের মাধ্যমে শরীর থেকে বের হয়ে যায়।

এটি ব্যবহারের আগে আপনাকে সচেতন হতে হবে যে, সাধারণ কাঠকয়লা ও সক্রিয় কাঠকয়লা এক জিনিস নয়। সক্রিয় কাঠকয়লা ঔষধ হিসেবে ব্যবহারের জন্য তৈরি হয়েছে। শরীরকে বিষ মুক্ত করার জন্য ২০ গ্রাম সক্রিয় কাঠকয়লা গ্রহণের পরামর্শ দেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। ভারী ধাতুর ডিটক্সিফাই এর জন্য ১২ ঘন্টায় ২-৪ বার গ্রহণ করতে হবে সক্রিয় কাঠকয়লা।

সক্রিয় কাঠকয়লা সেবন করলে কালো স্টুল হতে পারে এবং ডিহাইড্রেশন ও হতে পারে। তাই প্রচুর পানি পান করুন। খাওয়ার ২ ঘন্টা পরে সক্রিয় কাঠকয়লা দিয়ে দাঁত মাজুন যাতে আপনার দাঁত সাদা হয় ও শরীর সঠিক ভাবে বিষ মুক্ত হতে পারে।

এই বিভাগের আরও খবর