img

হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব শ্যামা পুজো (কালী পূজা) সাধারণত কার্তিক মাসের অমাবস্যা তিথিতে সম্পন্ন করা হয়| সে হিসেবে আজ মঙ্গলবার (৬ নভেম্বর) অনুষ্ঠিত হবে এ পুজো। 

১৮ শতকে নবদ্বীপের রাজা কৃষ্ণচন্দ্র এই পূজা শুরু করেন। এর পর ১৯ শতক থেকে এই পুজো বহুল প্রচলিত হয়। 

হিন্দু শাস্ত্র মতে, কালী মূলত দুর্গারই অপর একটি শক্তি। কালী পুজো শক্তির পূজা। জগতের সকল অশুভ শক্তিকে পরাজিত করে শুভশক্তি বিজয় করাই কালী পুজোর মাহাত্ম্য।

কালী পুজোর সন্ধ্যায় হিন্দুরা তাদের বাড়িতে ও শ্মশানে প্রদীপ জ্বালিয়ে পরলোকগত পিতা-মাতা ও আত্মীয়দের স্মরণ করেন। এটিকে বলা হয় দীপাবলি। 

দেবী কালী বা ভগবতী কালী মূর্তি বন্দনার সময় দেবী মূর্তির একটি পা মহাদেবের বুকের ওপর থাকে, এক হাতে অসুরের ছিন্ন মস্তক ও অন্য হাতে খড়গ এবং দেবীর গলায় থাকে নরমুন্ডের মালা। তবে অনেক ক্ষেত্রে কালী দোয়াত দেবী মূর্তির পরিবর্তে দেবী ভগবতী রূপে বন্দনা করা হয়। পুজো শুরু করার পূর্বে লেখনি দোয়াত বা কালী দোয়াতটি পুজোর আসনে বসানো হয়ে থাকে। অনামিকা অঙ্গুলি দ্বারা লেখনি দোয়াতগুলিতে স্বস্তিক অঙ্কন করা হয়ে থাকে এবং এর জন্য লাল চন্দনবাটা ব্যবহৃত হয়ে থাকে। 

স্বস্তিক অঙ্কন সমাপ্ত হলে কালী পুজো শুরু হয়। বহুল আয়োজন বা ভোগ নয়, দেবী কালী শুধু জবা ফুলেই সন্তুষ্ট হন। তবে ভক্তি, আস্থা ও নিষ্ঠা এই পুজোকে সঠিক ভাবে সম্পন্ন করে। সোমরস এই পুজোয় প্রধান ভোগ হিসেবে ব্যবহৃত হয়। মধ্যরাতে পুজো শুরু হয় এবং সাধারণত ভোর রাতে এই পুজো সম্পন্ন হয়। 

রাজধানীর ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির, রামকৃষ্ণ মিশন ও মঠ , সিদ্ধেশ্বরী কালী মন্দির, সবুজবাগ থানাধীন বরদেশ্বরী কালীমাতা মন্দির, পুরান ঢাকার ঐতিহাসিক ৮৪নং বনগ্রাম রোডস্থ রাধাগোবিন্দ জিও ঠাকুর মন্দির, পোস্তগোলা মহাশ্মশান, রামকৃষ্ণ মিশন, সূত্রাপুরের বিহারীলাল জিও মন্দির, গৌতম মন্দির, রামসীতা মন্দির, ঠাটারীবাজারে শিব মন্দির, তাঁতীবাজার, শাঁখারীবাজার, বাংলাবাজারসহ বিভিন্ন মণ্ডপ ও মন্দিরে এ পুজো অনুষ্ঠিত হবে।

এই বিভাগের আরও খবর