img

১৯৯৯ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ নারী দলের হয়ে মাঠ কাঁপিয়েছেন চামেলী খাতুন। শুধু ক্রিকেটেই নয় সমান তালে ফুটবলও খেলেছেন। কিন্তু সেই চামেলীই এখন জীবনের চরম দুঃসময় পার করছেন। অবস হয়ে যাচ্ছে তার শরীরের এক অংশ। স্বাভাবিক ভাবে চলাফেরা করতে না পারায় বিছানায় এখন কাটছে তার দিন। জীবনের এই কঠিন সময়ে বাঁচার আকুতি নিয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের কাছে সাহায্য চেয়েছেন এক সময়ের এই দাপুটে ক্রিকেটার।

রাজশাহীর দরগা পাড়া এলাকায় থাকেন চামেলী খাতুন। সেখানেই দুই জানালা এক দরজার জরাজীর্ণ ছোট্ট একটি ঘরই এখন তার পরিবারের ঠিকানা।

আট বছর থেকে লিগামেন্ট ছিঁড়ে যাওয়া সহ মেরুদণ্ডে হাড়ের ব্যথা নিয়ে চলতে চলতে বর্তমানে খুব কঠিন অবস্থায় পৌছেঁছেন তিনি। মেরুদন্ডে দুই হাড়ের ফাঁকে থাকা নরম ডিস্ক গুলো নষ্ট হয়ে যাওয়ায় অবস হয়ে যাচ্ছে তার পুরো ডান পাশ। তাকে দেখে বোঝবার উপায় নেই, ১২ বছর পর্যন্ত এই চামেলীই দাপটের সঙ্গে নিজের নৈপূণ্যতা দেখিয়েছেন জাতীয় পর্যায়ের অ্যাথলেটিক্স, ফুটবল এবং নারী ক্রিকেটে।

তার শরীরের বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে চামেলী বলেন,‘ আমি এখন রাজশাহীতেই আছি। প্রায় ছয় মাসের আগে ডাক্তার আমাকে অপারেশন করার কথা বলেছিলেন। কিন্তু আর্থিক অবস্থার কারণে পারিনি। দুই মাস আগে পরপর দুইবার প্যারালাইসিস হওয়ার পথ থেকে যখন ফিরে আসি তখন ডাক্তারের কাছে গেলে তিনি আমাকে ‘সরি’ বলে দিয়েছেন। তার আর কিছু করার নেই। তিনি বলেছেন আর একবার হলে আমার এক পাশ অবশ হয়ে যাবে। যদি বাঁচতে হয় আপনি তাড়াতাড়ি অপারেশন করুণ। যে কয়টা দিন বাঁচার একটু ভালো ভাবে বাঁচুন।’

চামেলীকে অতি স্বত্বর দেশের বাইরে সার্জারির পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসক। যাতে প্রয়োজন অন্তত ১০ লাখ টাকা। যেটা তার পরিবারের যোগান দেওয়া অসম্ভব।

কিন্তু মাঠ কাঁপানো এই নারী ক্রিকেটার বাঁচতে চান। আবারও স্বাভাবিক ভাবে হাঁটতে চান। যার জন্য বিসিবি কাছে সাহায্য চেয়েছেন। বিসিবি ছাড়াও সমাজের সকলের নিকট প্রতি সাহায্যের অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি।

চামেলী বলেন,‘আমার একটাই চাওয়া, আমি বাঁচতে চাই। আমার আর্থিক অবস্থার কারণে আজ আমার এই অবস্থা। আমি আবারও স্বাভাবিক ভাবে হাঁটতে চাই। বিসিবির কাছে আমার অনুরোধ আমাকে যেন একটু বাঁচতে সাহায্য করে। তারা যেন আমার দিকে তাকায়। সবার সাহায্যে আমি বাঁচতে চাই। ‘

এই বিভাগের আরও খবর