img

মানবের সমাজ বিনির্মানে সংস্কৃতি চর্চ্চা ও বিকাশের কোন বিকল্প নাই:  সংস্কৃতিমন্ত্রী 

সংস্কৃতি মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর এমপি বলেছেন ১৯৭১ সালে যারা দেশে গণহত্যা চালিয়েছে, নারীদের ধর্ষন করেছে, ১৯৭৫ সালে যারা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্বপরিবারে নির্মমভাবে হত্যা করেছে, যারা আন্দোলনের নামে মানুষ হত্যা করেছে, বাসে আগুন দিয়ে মানুষ পুড়িয়েছে, যারা গাছপালা এমন কি কোরন শরীফ পর্যন্ত পুড়িয়েছে এবং সবশেষে যারা হলিআর্টিজেন-এ নারকীয় হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে তাদের অভ্যন্তরীন শেকড় একই। তারা সবাই দনব ছিল। আমরা দানবের সমাজ নয় মানবের সমাজ বিনির্মান করতে চাই।

 এ ক্ষেত্রে সংস্কৃতি চর্চ্চা বা সংস্কৃতি বিকাশের কোন বিকল্প নাই। আমাদের প্রধানমন্ত্রী সংস্কৃতি বান্ধব। তাঁরই অনুপ্রেরনায় বাংলাদেশে সংস্কৃতি চর্চ্চা ও বিকাশের নানা উদ্যোগ হাতে নেয়া হয়েছে। শনিবার দুপুর ২টায় নওগাঁয় একুশে’র চেতনায় লালিত ঐতিহ্যবাহি সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন একুশে পরিষদের ২৫ বছর পূর্তি উৎসব উপলক্ষে আয়োজিত গুনীজন সম্বর্ধনা ও আলোচনাসভায় প্রধান অতিথি’র বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেছেন। একুশে পরিষদের সভাপতি এ্যাড. ডি এম আব্দুল বারী’র সভাপতিত্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জাতীয় সংসদের হুইপ শহিদুজ্জামান সরকার এমপি। সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক মোঃ মিজানুর রহমান এবং পুলিশ সুপার মোঃ ইকবাল হোসেন। 

এ সময় একুরেশ পরিষদের উপদেষ্টাবৃন্দ এবং সকল পর্যায়ের সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। সংস্কৃতিমন্ত্রী বলেছেন একটি ফুলের বাগানে যদি নানান ধরনের ফুলের গাছ না থাকে তাহলে ঐ বাগান যেমন সুন্দর হয় না তেমনি একটি দেশে যদি নানান ধর্মের, নানান বর্ণের, নানান পেশার, নানান গোত্রের মানুষ না থাকে তাহলে ঐ দেশ সুন্দর হয় না। আমাদের বাংলাদেশ অসাম্প্রদায়িক চিন্তা ও চেতনার দেশ। এখানে সব ধরনের মানুষ আবহমান কাল থেকে একসাথে বসবাস করে আসছে। এটি আমাদের সংস্কৃতি। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এই অসাম্প্রদায়িক চেতনায় বাংলাদেশ গড়ে তোলার লক্ষে মুক্তিযুদ্ধের আহবান জানিয়েছিলেন। কিনি বলেছেন প্রত্যেকটি দেশের সভ্যতা, ঐতিহ্য, ইতহাস ও সংস্কৃতি সেদেশের মানুষ গর্বের সাথে ধারন করে থাকেন।

 বাংলাদেশের মানুষেরও বাঙালী হিসেবে তাদের ঐতিহ্য, ইতহাস, সভ্যতা ও সংস্কৃতি গর্বের সাথে ধারন করি। এর আগে দিনের প্রথমার্ধে সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা আহবায়ক অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান দিনব্যপী এই কর্মসূচীর উদ্ধোধন করেন। তিনি জাতীয় পতাকা এবং সংগঠনের সভাপতি এ্যড. ডি এম আব্দুল বারী সংগঠনের পতাকা উত্তোলন করেন। পরে এক বর্নাঢ়্য শোভাযাত্রা শহরের প্রধানপ্রধান সড়ক প্রদক্ষিন করে। অনুষ্ঠানে যথারীতি স্ব স্ব ক্ষেত্রে অবদান রাখায় ১৬ গুনী ব্যক্তিকে সম্বর্ধনা প্রদান করা হয়। এউপলক্ষে সাংস্কৃতি অনুষ্ঠান, লাঠিখেলা, পুথিপাঠ. যাত্রাপালা ইত্যাদি’র আয়োজন করা হয়। এ ছাড়াও পরিষদের ২৫ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে মাসব্যপী গাছের চারা রোপন, নৌকাবাইচ প্রতিযোগিতা এবং মৎস্য মানব বলে খ্যাত মিজানুর রহমান চৌধুরীর ২ ঘন্টাব্যপী পানিতে ডুবে থাকা কর্মসূচীর আয়োজন করে। 
 

এই বিভাগের আরও খবর