img

পাওনা টাকা ফেরত চাওয়ায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শহীদুল্লাহ হল শাখা ছাত্রলীগের তিন নেতার বিরুদ্ধে এক চা দোকানিকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মূল ফটকের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতারা হলেন— হল শাখা ছাত্রলীগের সমাজসেবা বিষয়ক সম্পাদক মো. হেলাল উদ্দীন তাইসিন, অর্থ বিষয়ক উপসম্পাদক ইফতেখার আহমেদ সুজন, স্কুলছাত্র বিষয়ক উপসম্পাদক আরাফাত হোসেন অভি। পরে ঢাবি ছাত্রলীগের সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাসের মধ্যস্থতায় দোকানিকে এক হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ দেন তারা।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বৃহস্পতিবার রাত আড়াইটার দিকে শহীদুল্লাহ হল শাখা ছাত্রলীগের সমাজসেবা সম্পাদক মো. হেলাল উদ্দীন তাইসিন, অর্থ বিষয়ক উপসম্পাদক ইফতেখার আহমেদ সুজন, স্কুলছাত্র বিষয়ক উপসম্পাদক আরাফাত হোসেন অভি ঢাকা মেডিকেলের সামনে মো. হানিফের চায়ের দোকানে চা খেতে আসেন।  হানিফ তখন দোকানে ছিলেন না। সিগারেট শেষ হয়ে যাওয়ায় তিনি স্ত্রীকে দোকানে রেখে চানখাঁরপুলে সিগারেট আনতে যান। সুজন হানিফের স্ত্রীর কাছে সিগারেট চাইলে তিনি সিগারেট নেই বলে জানান। এসময় হানিফের স্ত্রী সুজনের কাছে পাওনা টাকা ফেরত চান। কিছুক্ষণ পরে সিগারেট নিয়ে হানিফ ফিরে এলে তাকে সুজন ও অভি মারধর শুরু করেন। একপর্যায়ে হানিফের দোকান ভাঙচুর শুরু করেন তারা। এ সময় দোকানের পাশেই চা খাচ্ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সভাপতি আসিফ ত্বাসীন ও সহসভাপতি মীর আরশাদুল হক। আরশাদুল হক তারেদরকে থামাতে চেষ্টা করলে ছাত্রলীগের নেতারা তাদের ওপর চড়াও হন। একপর্যায়ে তারা সাংবাদিকদের মারার হুমকি দিয়ে লাঠি আনতে শহীদুল্লাহ হলের দিকে যান।

এ বিষয়ে সনজিত চন্দ্র দাস সাংবাদিকদের বলেন, ‘একটা ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। ওরা দোকানদারের কাছে ক্ষমা চেয়েছে। ওদের পক্ষ থেকে আমি জরিমানা দিয়েছি। হানিফ ভাই যদি সন্তুষ্ট না হতেন, তাহলে আমরা ব্যবস্থা নিতাম।’

এই বিভাগের আরও খবর