img

 

26 Oct, 2018

আশুলিয়ায় গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের পিএইচএ ভবনের গেট ভাঙচুর করে লুটপাট ও পরে ছাত্রী হলে হামলার ঘটনা ঘটেছে।

শুক্রবার সকাল ১০টায় নাসির উদ্দিন ও মহিব্বুল রব জমি দখল করে পিএইচএ ভবনের মালামাল লুট করেছে বলে অভিযোগ করেছে গণস্বাস্থ্যের কর্তৃপক্ষ।

গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টির সদস্য ডা. নজিমউদ্দিন জানান, পিএইচএ ভবনে হামলা করে কাজী মুহিব্বুল রবের নেতৃত্বে পিএইচ ভবনের দরজা জানালা ভাঙচুর-লুটপাট ও ছাত্রী হল ভাঙচুর-লুটপাট চালায় সন্ত্রাসীরা। অন্যদিকে মোহাম্মদ আলীর লোকজন ও সৈয়দ সেলিমের লোকজন জমি দখল ও বাউন্ডারি নির্মাণের কাজ করে।

এদিকে ছাত্রী হলে হামলা ও ভাঙচুর করার সময় দেশের আলোচিত গুলিবিদ্ধ হওয়া লিমন (আইন বিভাগের শিক্ষার্থী) বাধা দিলে তাকে হামলায় অংশগ্রহণকারীরা পিটিয়ে আহত করে। এতে লিমনের ডান হাত ভেঙে গেছে বলে লিমন জানিয়েছেন।

অ্যাসিস্ট্যান্ট হল সুপার কোহিনুর আক্তার বলেন, ৩টি হলের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে সন্ত্রাসীরা ছাত্রীদের গলা ধাক্কা দিয়ে, অকথ্য ভাষায় গালিগালাজসহ অশোভন আচরণ করে হল থেকে বের করে দেন।

কোয়ার্টারের কর্মচারী রোজিনা বলেন, সন্ত্রাসীরা কোয়ার্টারে ঢুকে বসবাসকারীদের ৫ মিনিটের মধ্যে কোয়ার্টার থেকে বেরিয়ে যেতে বলেন। এতে তারা আপত্তি জানালে তাদের এক কাপড়ে কোয়ার্টার থেকে বের করে দেয় সন্ত্রাসীরা।

গণবিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী আঁখি আক্তার বলেন, ১০টায় টিউশনে যাওয়ার পথে পিএইচএ ভবন গেটের কাছে পৌঁছলে হামলাকারীরা তাকে অকথ্য ভাষায় কথা বলে পথরোধ করেন। পরে সে হলে ফিরে যান।

শেষ মুহূর্তে লালটেক, ফুল টেক ও ডক্টরস ছাত্রী নিবাসের ১৬০ শিক্ষার্থী একযোগে সন্ত্রাসী ও হামলাকারীদের লাঠিসোঁটা নিয়ে ধাওয়া করলে দখলে নেয়ারা পালিয়ে যেতে বাধ্য হন। ঘটনায় ওই এলাকায় টান টান উত্তেজনা ও আতঙ্ক বিরাজ করছে। এ সম্পর্কে গণস্বাস্থ্য ট্রাস্টি সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা নাজিম উদ্দিন আক্ষেপ করে বলেন, জীবনবাজি রেখে যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছি। এলাকার সাধারণ মানুষের সেবা দিতে এ এলাকায় চিকিৎসাসেবা, শিক্ষা উন্নয়নের জন্য গণবিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেছি। আমাদের চোখের সামনে গুটি কয়েক সন্ত্রাসী ও দখলবাজরা আমাদের স্থাপনায় হামলা, লুটপাট ও শিক্ষার্থীদের মারধর করার বিষয়ে প্রশাসনের কাছে আবেদন করেও কোনো সাড়া না পেয়ে তিনি বিস্মিত হয়েছেন।

উৎসঃ   যুগান্তর

এই বিভাগের আরও খবর