img

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ১৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ২০ অক্টোবর শনিবার। তবে সরকারি ছুটি থাকায় উদযাপন অনুষ্ঠান হবে ২২ অক্টোবর সোমবার।

২০০৫ সালের ২০ অক্টোবর জাতীয় সংসদে আইন পাসের মাধ্যমে শতবর্ষী জগন্নাথ কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রুপান্তর করে সরকার। ২০০৯ সাল থেকে পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে যাত্রা শুরু করে ১৬০ বছরের পুরনো এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি।  

‘অদম্য তের বছর’ স্লোগানকে সামনে রেখে ১৩তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক দিনব্যাপী বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। সকাল ৯টা ১০মিনিটে জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে জাতীয় পতাকা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পতাকা উত্তোলন এবং সকাল ৯টা ১৫টা মিনিটে বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের শুভ উদ্বোধন করবেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান।

পরে সকাল ৯টা ৩০ মিনিটে প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর সুসজ্জিত র‌্যালি উপাচার্যের নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার চত্বরে সমবেত হয়ে পুরো ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণের পর রায়সাহেব বাজার মোড় হয়ে ক্যাম্পাসে এসে সমাপ্ত হবে।

এরপর ১০টা ৩০ মিনিটে সামাজিক বিজ্ঞান ভবন চত্বরে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে। বেলা ১২টায় নতুন একাডেমিক ভবনের নিচতলায় বার্ষিক চারুকলা প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়াও দিনব্যাপী ভাষা শহীদ রফিক ভবনের নিচতলায় প্রকাশনা প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে। অনুষ্ঠানসমূহে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান। 

প্রতিষ্ঠার এই ১৩ বছরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাফল্য ও সামনের দিকে আরও এগিয়ে নেওয়ার প্রত্যয় নিয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান বলেন, আমাদের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সংস্কৃতি পরিবর্তন করা। বিশ্ববিদ্যালয়ে জ্ঞান আহরণ এবং পাঠদান দুটি কাজই হয়ে থাকে। আমরা এটি করতে পেরেছি। বিশ্ববিদ্যালয়ে এখন মেধাবীরা ভর্তি হচ্ছে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরাও মেধাবী। শিক্ষকদের অনেকে বিদেশ থেকে ডিগ্রি নিয়ে এসেছেন। ইউজিসি এবং সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে শিক্ষকরা বিভিন্ন গবেষণায় ব্যস্ত। বিশ্ববিদ্যালয়টিতে চারুকলা, সঙ্গীত, নাট্যকলার মতো বিষয় খোলার মাধ্যমে সুকুমারবৃত্তির সংস্কৃতির উন্নয়ন ঘটেছে।

জবি উপাচার্য বলেন, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি বড় সমস্যা ছিল একাডেমিক ও আবাসন সমস্যা। সরকার আমাদের কেরানীগঞ্জে ২০০ একর জমি দিয়েছে। এখানে মহাপরিকল্পনার মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবন ও আবাসনের ব্যবস্থা করা হলে এ বিশ্ববিদ্যালয় আন্তর্জাতিক মানের বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরিত হবে। 

জানা যায়, ১৮৫৮ সালে টাঙ্গাইলের বালিয়াটির জমিদার কিশোরীলাল রায় চৌধুরী পুরান ঢাকায় একটি ব্রাক্ষ স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন। পরে ১৮৭২ সালে তার বাবার নামানুসারে এটির নাম 'জগন্নাথ স্কুল', ১৮৮৪ সালে ২য় শ্রেণির কলেজ, ১৯০৮ সালে প্রথম শ্রেণির কলেজ ও ১৯৬৮ সালে সরকারি কলেজে পরিণত হয়। সর্বশেষ ২০০৫ সালের ২০ অক্টোবর ৭ একর জায়গা নিয়ে জাতীয় সংসদে 'জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় আইন-২০০৫' এর মাধ্যমে জগন্নাথ কলেজ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে উন্নীত হয়। 

বিশ্ববিদ্যালয়ের জায়গা সংকুলান, শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের আবাসন সমস্যা, নতুন একাডেমিক ভবন এবং গবেষণা কাজের সুবিধার্থে কেরানীগঞ্জের তেঘরিয়ায় ২০০ একর জমিতে দুই হাজার কোটি টাকার প্রকল্প অনুমোদন দেয় সরকার। বর্তমান বিশ্ববিদ্যালয়ে ছয়টি অনুষদে ৩৬টি বিভাগ ও দুটি ইনস্টিটিউটে প্রায় ৬৫০ জন শিক্ষক, ১৯ হাজার শিক্ষার্থী রয়েছে। 

এই বিভাগের আরও খবর