img

বাংলাদেশের মোট জনগোষ্ঠীর একটি বড় অংশ ফুসফুস রোগে আক্রান্ত। দেশের চল্লিশোর্ধ্ব মানুষের মধ্যে শতকরা ২১ জন সিওপিডি বা ক্রনিক অবস্ট্রাক্টিভ পালমোনারি ডিজিজে আক্রান্ত। দেশের এক কোটি ১০ লাখ মানুষ অ্যাজমা রোগে ভুগছেন। এ ছাড়া বিশ্বের সর্বোচ্চ যক্ষ্মা আক্রান্ত ২২টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম।

এমন পরিস্থিতিতে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো নানা আয়োজনে মঙ্গলবার বাংলাদেশেও পালিত হয় বিশ্ব ফুসফুস দিবস। ‘ফোরাম অব ইন্টারন্যাশনাল রেসপারেটরি সোসাইটি’ ২৫ সেপ্টেম্বর ফুসফুস দিবস হিসেবে ঘোষণা করে। ফোরামের বাংলাদেশের সদস্য ‘বাংলাদেশ লাং ফাউন্ডেশন’ দিবসটি পালন করে।

দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘বিশ্বব্যাপী ফুসফুসের সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করা।’ দিবসটি উপলক্ষে বাংলাদেশ লাং ফাউন্ডেশন রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। সংগঠনের সভাপতি অধ্যাপক ডা. রশিদুল হাসানের সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ডা. আসিফ মুজতবা মাহমুদ।

বাংলাদেশ লাং ফাউন্ডেশনের তথ্য মতে, দেশের শীর্ষ পাঁচটি প্রাণঘাতী রোগের মধ্যে রয়েছে সিওপিডি, নিউমোনিয়া, ডায়াবেটিস, হৃদরোগ এবং পক্ষাঘাত। অর্থাৎ শীর্ষ ৫ রোগের মধ্যে প্রধান দুটি রোগই হল ফুসফুস সংক্রান্ত।

বাংলাদেশের ফুসফুসের প্রধান রোগগুলোর মধ্যে রয়েছে সিওপিডি, অ্যাজমা, যক্ষ্মা, নিউমোনিয়া, আইএলডি, লাং ক্যান্সার। দেশে ফুসফুস রোগের প্রধান কারণগুলোর মধ্যে রয়েছে বায়ুদূষণ, ধূমপান, অতিরিক্ত জনসংখ্যা, দারিদ্র্য, সামাজিক সচেতনতার অভাব ইত্যাদি।

 

এই বিভাগের আরও খবর