গোলহীন নেইমার , পিএসজির পরাজয়।
মঙ্গলবার রাতে লিভারপুলের মাঠ অ্যানফিল্ডে আতিথেয়তা নিতে যায় পিএসজি। কিন্তু এখান থেকে পরাজয়ের তিলক নিয়ে ফিরতে হলো নেইমার-এমবাপেদের।এমবাপে গোল পেলেও এদিন গোলবঞ্চিত ছিলেন নেইমার। অন্যদিকে লিভারপুলের হয়ে গোলবঞ্চিত ছিলেন মিশরের সালাহও।
নিজেদের মাঠে চেনা দর্শকদের সামনে শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ছিল রেড ডেভিলরা। শুরুতেই এগিয়ে যাওয়ার কয়েকটি সুযোগ পায়। কিন্তু সেই সুযোগ কাজে লাগাতে পারেনি
সালাহ-ফিরমিনোরা। প্রথম গোলের জন্য ৩০তম মিনিট পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয় সালাহদের। বাঁ দিক থেকে স্বদেশি ডিফেন্ডার অ্যান্ড্রু রবার্টসনের ক্রস থেকে হেড দিয়ে গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন ইংলিশ ফরোয়ার্ড ড্যানিয়েল স্টারিজ।
এর মিনিট ছয় পর ব্যবধান দ্বিগুণ করেন জেমস মিলনার। ডি-বক্সের মধ্যে ডাচ মিডফিল্ডার জর্জিনিয়ো ভেইলাডামকে পিএসজি তারকা হুয়ান বার্নাত ফাউল করলে পেনাল্টি পায় লিভারপুল। সফল স্পট কিকে ম্যাচের দ্বিতীয় গোলটি করেন মিলনার।
৪০তম মিনিটে ব্যবধান কমান পিএসজি তারকা মুনিয়ে। ডি বক্সের মধ্যে ফাঁকায় বল পেয়ে দলের পক্ষে প্রথম গোলটি করেন বেলজিয়ান এ ডিফেন্ডার। ২-১ গোলে পিছিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় পিএসজি।
বিরতি থেকে ফিরে গোল পেয়েছিলেন লিভারপুলের মিশরীয় ফরোয়ার্ড মোহাম্মদ সালাহ। কিন্তু তার আগে আরিওলাকে স্টারিজকে ফাউল করায় গোলটি বাতিল হয়।
৭৪তম মিনিটে স্টারিজের বদলি খেলোয়াড় হিসেবে মাঠে নামেন প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচে চোখে আঘাত পাওয়া ফিরমিনো। ৮৩তম মিনিটে কিলিয়ান এমবাপের গোলে সমতায় পায় পিএসজি। মধ্যমাঠ থেকে বল পেয়ে দৌড় দেন নেইমার। দুজনকে কাটিয়ে ডি বক্সের ভেতরে এমবাপেকে পাস দিলে ভলিতে ডানপায়ে শটে লক্ষ্যভেদ করেন এমবাপে।
সবাই যখন গোল সমতায় ম্যাচ শেষ হওয়ার স্বপ্ন দেখছিলেন তখনি রেড ডেভিল সমর্থকদের জয়ের আনন্তে ভাসান ব্রাজিলিয়ান ফিরমিনো। রেফারি শেষ বাঁশি বাজানোর অপেক্ষায় অতিরিক্ত মিনিটের খেলা চলছিল। তখনি ডি বক্সের বাইরে থেকে বল নিয়ে ভেতরে ঢুকে বামপায়ে শট নিলে পিএসজির ডিফেন্ডারদের ফাঁকি দিয়ে গোলরক্ষককেও পরাস্ত করে। সেই সঙ্গে আবারও মেতে ওঠে পুরো অ্যানফিল্ড।
আর পরাজয়ের তকমা নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় পিএসজিকে। এ ম্যাচে নেইমার গোল না পেলেও তার অ্যাসিস্ট থেকে গোল করেন এমবাপে।