img

আগামী শুক্র ও শনিবার ৬৪ জেলায় একযোগে সাংস্কৃতিক উৎসবের আয়োজন করেছে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়। স্থানীয় শিল্পী, কবি ও সাহিত্যিকদের অংশগ্রহণে এই অংশ নেবেন। উৎসবে সরকারের জনকল্যাণমূলক ও উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের উপর তথ্যচিত্র প্রদর্শিত করা হবে।

 

বুধবার সচিবালয়ে তথ্য অধিদফতরের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর এ তথ্য জানান। এ সময় তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনুও উপস্থিত ছিলেন।

আসাদুজ্জামান নূর বলেন, ‘দেশের তরুণ সমাজসহ সর্বস্তরের জনগণের মধ্যে সাংস্কৃতিক জাগরণ সৃষ্টি তথা দেশজ সাংস্কৃতি ধারণ, লালন ও সম্প্রসারণের জন্য সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় নিরন্তর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এই লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে দেশের ৬৪ জেলায় একযোগে সাংস্কৃতিক উৎসব আয়োজনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘স্থানীয় শিল্পী, কবি ও সাহিত্যিকদের অংশগ্রহণে এই উৎসব হবে। এছাড়া যে সব জেলায় মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে সাংস্কৃতিক চর্চা কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে সেখানে প্রশিক্ষণ নেয়া ছাত্র-ছাত্রীদের এ অনুষ্ঠানে অংশ গ্রহণের সুযোগ দেয়া হবে।’

উৎসবে স্থানীয় শিল্পীরা রবীন্দ্র সংগীত, নজরুল গীতি, আধুনিক ও দেশাত্মবোধক গান, কবিতা আবৃত্তি, একক অভিনয়, পল্লীগীতি, লালনগীতি, লোকগীতি, জারি, সারি, মুর্শিদী গান ছাড়াও আঞ্চলিক গান পরিবেশন করবেন।

এছাড়া অনুষ্ঠানে স্থানীয় সংস্কৃতিকে প্রতিনিধিত্ব করে এবং ফুটিয়ে তোলে, এ ধরণের সাংস্কৃতিক বিষয়কে প্রাধান্য দিয়ে পরিবেশনের চেষ্টা করা হবে বলে জানান সংস্কৃতি মন্ত্রী।

সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান চলাকালে সরকারের জনকল্যাণমূলক ও উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের উপর নির্মিত বিভিন্ন ভিডিও তথ্যচিত্র প্রজেক্টরের মাধ্যমে দেখানো হবে।

জেলা প্রশাসন, জেলা শিল্পকলা একাডেমি ও জেলা তথ্য অফিসের সহযোগিতায় সাংস্কৃতিক উৎসব উদযাপন করা হবে। প্রতিটি জেলায় জেলা প্রশাসকের সভাপতিত্বে একটি সাংস্কৃতিক উৎসব আয়োজন কমিটি গঠন করে এই কমিটির মাধ্যমে জেলা পর্যায়ে উৎসব আয়োজনর সার্বিক কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে। 

এ নিয়ে তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেন, ‘দুইদিনব্যাপী সাংস্কৃতিক উৎসবের মধ্য দিয়ে বাঙালির শেকড়ের সন্ধান ও নিজ পরিচয়ে উদ্ভাসিত হওয়ার চেষ্টা করবো। নৈতিক এবং সংস্কৃতিক অবক্ষয় থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করব। এবং পরিচয় সংকট থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করব।’

সংবাদ সম্মেলনে তথ্য সচিব আব্দুল মালেক, সংস্কৃতি বিষয়ক সচিব নাসির উদ্দিন আহমেদ, প্রধান তথ্য কর্মকর্তা কামরুন নাহার।

এই বিভাগের আরও খবর