img

আগামী জাতীয় নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে দলমত নির্বিশেষে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বিশিষ্ট আইনজীবী ড. কামাল হোসেন। তিনি বলেন, যখন কোনো দেশে গণতন্ত্র ও জবাবদিহিতা থাকে না, তখন আইনের শাসনও থাকবে না। জবাবদিহিতা যদি না থাকে, পাইকারিভাবে চুরি-চামারি হয়। দেশে বর্তমানে তাই হচ্ছে, এজন্য জনগণের পক্ষে আমাদের প্রহরির ভূমিকা পালন করতে হবে।

 (শুক্রবার) দুপুরে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন সিনিয়র এ আইনজীবী।

ড. কামাল হোসেন আরও বলেন, "স্বৈরতন্ত্র কেউ এখানে চিরস্থায়ী করতে পারবে না। নির্বাচন সুষ্ঠু হতে হবে। আসুন দলমত নির্বিশেষে একটা সুষ্ঠু নির্বাচনের পক্ষে ঐক্যবদ্ধ হই এবং আমরা পাহারা দেই। বাইরের জগৎ থেকেও সুষ্ঠু নির্বাচনের বলা হচ্ছে। আমাদের সাহসী হতে হবে। দায়িত্ব নিতে হবে। অতীতে আইনজীবীরা অন্যায়ের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন করেছি। তাতে আমরা সফলও হয়েছি।"

এ সময়, সরকারের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ৫ জানুয়ারির নির্বাচনকে নিয়ম রক্ষার নির্বাচন বলে, দ্রুত গ্রহণযোগ্য নির্বাচন দেয়ার কথা বলেছিল আওয়ামী লীগ। কিন্তু সেটা ভুলে গিয়ে নিলর্জ্জের মতো তারা ক্ষমতায় আছে। এছাড়া সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার সঙ্গে অসাংবিধানিক আচরণ করা হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন ডক্টর কামাল হোসেন।

সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠান নিয়ে সরকার বা বিরোধী পক্ষ কোনো মহলেরই দ্বিমত নেই। যদিও নির্বাচন পদ্ধতি ও নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে বিভক্তি আছে। এ নিয়ে বিরোধীপক্ষ আলোচনার মাধ্যমে সমঝোতার কথা বললেও সরকারপক্ষ বলছে, বর্তমান সংবিধানের আলোকেই নির্বাচন হবে, তাকে কে এলো বা না এলো; তাতে সরকারের কিছু আসে না।

বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা হাফিজ উদ্দিন খান বলেন, দেশের পরিস্থিতি কোন দিকে এগুচ্ছে তা এখনই বলা মুশকিল। আর রাজনীতিবিদরাও সব কথা প্রকাশ্যে বলেন না। তবে যতটুকু বুঝা যায়, ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ একা চলতে চায়। সমঝোতার কোনো লক্ষণ তাদের মধ্যে নেই। আর সরকার বিরোধী জোট বা মোর্চা গঠনের বিভিন্ন কথা উঠলেও বাস্তবে তার কোন অস্তিত্ব প্রকাশ পায়নি। শেষ পর্যন্ত কী হবে; তা সময়ই বলে দেবে বলে মনে করেন তিনি।

এই বিভাগের আরও খবর