img

 

গ্যাসের ক্রমবর্ধমান চাহিদা মেটাতে আমদানীকৃত তরল প্রাকৃতিক গ্যাস বা এলএনজির প্রথম চালান দেশে পৌঁছেছে।গতকাল  বিকেলে কক্সবাজারের মহেশখালি উপকূলে ভিড়েছে এলএনজিবাহী জাহাজ ‘এক্সিলেন্স’। বিদ্যুৎ, জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু জানান, শিগগিরি জাতীয় গ্রিডে যুক্ত করা হবে এই গ্যাস। এজন্য পাইপলাইন নির্মাণের কাজ শেষ পর্যায়ে বলেও জানান জ্বালানী প্রতিমন্ত্রী। 

দেশে গ্যাসের সংকট মোকাবেলায় ২০১০ সালে ফাস্ট ট্র্যাক প্রকল্পের আওতায় কক্সবাজারের মহেশখালীতে এলএনজি টার্মিনাল নির্মাণের কাজ শুরু হয়। আমদানী করা তরল গ্যাস জাতীয় গ্রিডে যুক্ত করতে প্রথমে ভাসমান টার্মিনালে আনা এবং পরে সিএনজিতে রূপান্তরিত করে সারাদেশে সরবরাহের পরিকল্পনা করে সরকার। এই গ্যাস পাইপলাইনের মাধ্যমে মহেশখালী থেকে চট্টগ্রামের আনোয়ারার মধ্য দিয়ে জাতীয় গ্রিডে যুক্ত করা হবে। প্রকল্পের অংশ হিসেবে মঙ্গলবার বিকেলে তরল প্রাকৃতিক গ্যাসের প্রথম চালান নিয়ে মহেশখালী উপকূলে ভিড়ে‘এক্সিলেন্স’ নামের একটি জাহাজ। যুক্তরাষ্ট্রের মালিকানাধীন এই জাহাজটিতে রয়েছে ১ লাখ ৩৬ হাজার ঘনমিটার তরল গ্যাস।

এই গ্যাস শিগগিরি জাতীয় গ্রিডে যুক্ত করা হবে বলে  জানান বিদ্যুৎ, জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী। তিনি জানান, প্রকল্পটি বাস্তবায়নে দীর্ঘ সময় লাগলেও বর্তমানে ৯০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। 

প্রতিদিন জাহাজে করে ৫’শ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস আনার পরিকল্পনা নিয়ে প্রাথমিকভাবে কাতার থেকে এলএনজি আমদানীর চুক্তি করে বাংলাদেশ। যার আওতায় মহেশখালিতে পৌঁছলো এলএনজি বহনকারী জাহাজ ‘এক্সিলেন্স’। পরে এটি ব্যবহৃত হবে ভাসমান টার্মিনাল হিসেবে। এজন্য যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানিকে ১৫ বছর ভাড়া দেয়া হলেও এরপর এটি বাংলাদেশ সরকারের মালিকানায় চলে আসবে।

এলএনজি টার্মিনাল থেকে জাতীয় গ্রিডে গ্যাস সরবরাহের জন্য মহেশখালী থেকে চট্টগ্রামের আনোয়ারা পর্যন্ত পাইপলাইন নির্মাণের কাজ শেষ। এখন চলছে আনোয়ারা থেকে সীতাকুন্ড পর্যন্ত পাইপলাইন নির্মাণের কাজ। 

 

এই বিভাগের আরও খবর