img

আমার যেনো ভায়োলেন্ট ডেথ না হয় | বুদ্ধদেব গুহ

 

বুদ্ধদেব গুহর মতো জনপ্রিয় লেখককে নতুন করে পাঠকদের কাছে পরিচয় করিয়ে দেওয়াটা বাহুল্যই বটে। তার লেখা উপন্যাস বিশেষত মাধুকরী, কোজাগর, একটু উষ্ণতার জন্য— এগুলো পড়েননি এমন রসিক পাঠক বোধকরি পাওয়াই মুশকিল!

আলাপচারিতা ১ম পর্ব: লেখক হতে গেলে ফাঁকিবাজি করে কিছু হয় না

আলাপচারিতা ২য় পর্ব: লেখকদের বিয়ে করা উচিত নয়

মেঘে মেঘে বেলা তো কম হলো না। দীর্ঘ জীবন যাপনের এই পর্বে এসে জীবন, মৃত্যু, প্রেম, সমাজচিন্তা, শিল্প, সাহিত্য, সংস্কতি প্রভৃতি নিয়ে আলাপচারিতায় মেতে ওঠেন জননন্দিত এ লেখক। 

মৃত্যু নিয়ে কী ভাবেন?

বুদ্ধদেব গুহ: ‘মরণ রে তুহু মম শ্যাম সমান’!

অনেক দৌড়েছি। সারা পৃথিবী ঘুরেছি, অনেক পেয়েছি, অনেক কাজ করেছি। এখন বিশ্রাম, শান্তির ঘুম পেতে ইচ্ছে করে। আমার আর কিছু চাইবার নেই, কোনো অভিযোগ নেই। তবে আমার লেখক জীবনে যারা আমার সঙ্গে অন্যায় করেছে সে লেখক হোক বা খবরের কাগজের সম্পাদক-মালিক যারাই হোক তাদের যেনো ঈশ্বর ক্ষমা করেন। এখন যদি মৃত্যুর পর জানা যায় ঈশ্বর কে বা কী!

আপনি তো মূর্তি বিশ্বাস করেন না তাহলে কী কোনো শক্তিকে বিশ্বাস করেন? কারণ আইনস্টাইন, নিউটন— বিশেষকরে নিউটন নিজে অতিপ্রাকৃত শক্তি নিয়ে কাজ করেছেন— আপনার কী মনে হয় এ ব্যাপারে? দেহ বা আত্মা কোনটা আপনার কাছে বেশী প্রভাবশালী?

বুদ্ধদেব গুহ: হ্যাঁ, সুপারন্যাচারাল কিছু আছে বলে বোধ করি। কারণ, এই এতো ভিন্ন মানুষ এতো অদ্ভুত সব সৃষ্টি, কে ঠিক করে দেয় এসব! আমি জানি না তবে মনে হয় একটা শক্তি আছে।

অবশ্য আত্মা বেশী প্রভাবশালী কারণ, দেখা যায় না। এই বিমূর্ত বোধের তো অনেক দিক, অনেক রহস্য তাই অনেক।

এই বিভাগের আরও খবর