img

ক্রিকেট থেকে অবসরের আগে রাজনীতিতে অংশ নিয়ে সবশেষ জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নৌকার প্রতীকে মাগুরা-১ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন সাকিব আল হাসান। গত বছরের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকেই দেশের বাইরে অবস্থান করছেন বিশ্ব সেরা এই অলরাউন্ডার।

জাতীয় দলের হয়ে সবশেষ গত বছরের অক্টোবরে ভারতের বিপক্ষে কানপুরে টেস্ট ম্যাচ খেলেন সাকিব। এরপর গত ১৬ মাসে দেশের হয়ে খেলতে না পারলেও বিদেশের বিভিন্ন ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টে নিয়মিত খেলছেন তিনি। বর্তমানে আইএল টি-টোয়েন্টিতে এমআই এমিরেটসের হয়ে খেলছেন সাকিব। 

সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে বাংলাদেশের তারকা অলরাউন্ডার বলেছেন, ‘আমাকে সরাসরি ক্রীড়া উপদেষ্টা ও আইন উপদেষ্টা দেশে ফেরার গ্রিন সিগন্যাল দিয়েছিলেন। আমি প্লেনে উঠেছি। বিসিবি থেকে আমাকে পুরো নিশ্চিত করা হয়েছে। (যুক্তরাষ্ট্র থেকে) তারপর আমি প্লেনে উঠেছি। দুবাইয়ে নামার পর তাদের সব জায়গা থেকে আবার বলছে, না, তাদের নাকি ১২ ঘণ্টার মধ্যে পরিস্থিতির অনেক পরিবর্তন হয়ে গেছে। যদি না আসি, তাহলে ভালো হয়। আমি আর যাইনি।’

ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি ক্ষমতায় গেলে দেশে ফিরবেন কিনা, এমন প্রশ্নের উত্তরে সাকিব বলেন, ‘এখানে রাষ্ট্র, সরকার—এগুলো আসা মানেই তো ক্রিকেট বোর্ডেও স্বচ্ছতা নেই। এখানে সরকারের হস্তক্ষেপ আছে। এগুলো তো বোঝাই যায়। আপনাদের আসলে প্রশ্নগুলো করা উচিত ঠিক জায়গায়, ঠিকভাবে। ভয় না পেয়ে! আপনারাও ওই ঘুরিয়ে-পেঁচিয়ে প্রশ্ন করেন দেখে তারা ওই ঘুরিয়ে উত্তর দিতে পারে। এ প্রশ্ন আমাকে তো করার বিষয় নয়। জিজ্ঞেস করবেন সরকারকে। সরকার আর ক্রিকেট বোর্ডের মুখোমুখি হয়ে।’

জাতীয় দলের এই তারকা অলরাউন্ডার আরও বলেন, ‘কথা হচ্ছে ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গে সরকারের কোনো সম্পর্কই থাকার কথা নয়। আর ক্রিকেট বোর্ড যদি সরকারের ওপর চাপিয়ে দেয়, এর মানে, ক্রিকেট বোর্ডে সরকারের হস্তক্ষেপ আছে। এর অর্থ হলো, বিষয়টা আইসিসিতে যাওয়া উচিত। তাদের সঙ্গে সঙ্গে নিষিদ্ধ হয়ে যাওয়া উচিত (হাসি)! আসলে ওই সাবজেক্টেই যাওয়া উচিত নয়। আমাকে যদি ক্রিকেট বোর্ড ফেরত না নিতে পারে (দেশে), এটা তাদের ব্যর্থতা। ঠিক না? আমার কী করার আছে এখানে?’

এই বিভাগের আরও খবর