খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে ড.মোশাররফ ও ড.মারুফের শোক প্রকাশ
গণতান্ত্রিক আন্দোলনের প্রতীক, ৩ বারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার ইন্তেকালে গভীর শোক ও সমবেদনা প্রকাশ করেছেন বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সিনিয়র সদস্য, বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন এবং দলের জাতীয় নির্বাহী কমিটির অন্যতম সদস্য ও সুপ্রীম কোর্টের আপীল বিভাগের এডভোকেট ড. খন্দকার মারুফ হোসেন।
এক যুক্ত শোকবার্তায় বিএনপি নেতৃবৃন্দ বলেন,বেগম খালেদা জিয়ার ইন্তেকালে জাতি এক মহান অভিভাবককে হারাল। তার মৃত্যুতে আমরা গভীরভাবে শোকাভিভূত ও মর্মাহত। নেতৃবৃন্দ বলেন, বেগম খালেদা জিয়া ছিলেন বাংলাদেশের ইতিহাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। জনগণের অধিকার আদায় ও বহুদলীয় রাজনৈতিক সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠার গণতান্ত্রিক সংগ্রামের অগ্রনায়ক। তার অবদান জাতি চিরকাল গভীর শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরণ রাখবে।
বিএনপি নেতা ড.মোশাররফ ও খন্দকার মারুফ বলেন, খালেদা জিয়ার আপসহীন নেতৃত্বে গণতন্ত্রহীন জাতি বারবার গণতন্ত্র ফিরে পেয়েছে, মুক্তির স্বাদ পেয়েছে। দেশ ও জাতি তার এই অবদান শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করবে। জাতির কল্যাণে তার দীর্ঘ রাজনৈতিক অভিযাত্রা, গণমুখী নেতৃত্ব এবং দৃঢ় মনোবল জাতিকে পথ দেখিয়েছে। তার মৃত্যুতে দেশ একজন অভিজ্ঞ, পরীক্ষিত ও খাঁটি দেশপ্রেমিক রাজনীতিককে হারাল।
বিএনপি নেতৃবৃন্দ বলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া ছিলেন বাংলাদেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী এবং বিএনপির চেয়ারপারসন। তিনি স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে গণতন্ত্র ফিরে পাওয়ার লড়াইয়ে বলিষ্ঠ নেতৃত্ব দেন।
তার স্বামী সাবেক রাষ্ট্রপতি ও সেনাপ্রধান, বীর মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমানের মৃত্যুর পর ১৯৮২ সালে বেগম খালেদা জিয়া গৃহবধূ থেকে রাজনীতির মাঠে এসে বলিষ্ঠ নেতৃত্ব দেন। তার নেতৃত্ব স্বৈরশাসক এরশাদের দীর্ঘ ৯ বছরের দুঃশাসনের পতন ঘটাতে অগ্রণী ভূমিকা রাখেন।
ড.মোশাররফ ও খন্দকার মারুফ বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার বহু গণমূখী সিদ্ধান্ত দেশকে অনেক দূর এগিয়ে নিয়েছে। তিনি মেয়েদের জন্য অবৈতনিক শিক্ষা ও উপবৃত্তি চালু করেন, যা বাংলাদেশের নারী শিক্ষার অগ্রগতির ক্ষেত্রে একটি মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
ড. খন্দকার মোশাররফ ও খন্দকার মারুফ বলেন, বেগম খালেদা জিয়া বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক ও কর্মজীবনে অত্যন্ত সফল ব্যক্তিত্ব ছিলেন। তিনি কখনো কোনো নির্বাচনে পরাজিত হননি। শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদী শাসনামলে বেগম খালেদা জিয়া ছিলেন সংগ্রাম ও প্রতিরোধের এক অনন্য প্রতীক। তার আপসহীন ভূমিকা, দীর্ঘ লড়াই-সংগ্রামে জাতিকে দারুণভাবে অনুপ্রাণিত করেছে। এত সব সাফল্যের কারণেই বেগম খালেদা জিয়া চরম রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয়েছিলেন। মিথ্যা ও বানোয়াট মামলায় তাকে ১৭ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকার বিনা অপরাধে তাকে দীর্ঘদিন কারাগারে আটকে রেখেছে। বেগম খালেদা জিয়াকে সুচিকিৎসা দেওয়া হয়নি। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বিদেশে যেতে দেওয়া হয়নি।
ড. মোশাররফ ও খন্দকার মারুফ যুক্ত শোকবার্তায় দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবার ও দলের নেতাকর্মীদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন।

