ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে যা খেতে পারেন
ব্লাড সুগার ঠিক রাখা অনেক মানুষের জন্যই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পরিবারে হয়ত কাউকে না কাউকে খাবার আগে বা ঘুমানোর আগে রক্তে গ্লুকোজ পরীক্ষা করতে দেখেছেন। অনেক সময় বেশি কার্বোহাইড্রেটযুক্ত খাবার খাওয়ার পর হঠাৎ শক্তি কমে যায়, অস্বাভাবিক ক্ষুধা অনুভূত হয় কিংবা মনের অবস্থার পরিবর্তন দেখা দেয়—যার সঙ্গে সবসময় মানসিক চাপের সম্পর্ক থাকে না।
এই ধরনের দৈনন্দিন লক্ষণ সাধারণত রক্তে শর্করার ওঠানামার ইঙ্গিত দেয়, এমনকি যারা ডায়াবেটিসে আক্রান্ত নন তাদের ক্ষেত্রেও।
তবে ভালো খবর হলো, কিছু সহজ খাদ্যাভ্যাস রক্তে শর্করার মাত্রা স্থিতিশীল রাখতে সাহায্য করতে পারে। যারা ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখতে চান, তাদের খাবারের ক্ষেত্রে কয়েকটি বিষয়ের দিকে নজর দেওয়া জরুরি।
১. সকালের খাবারে কার্বোহাইড্রেটের সঙ্গে প্রোটিন রাখুন
শুধু টোস্ট, সেরিয়াল বা ফল দিয়ে দিন শুরু করলে রক্তে শর্করা দ্রুত বাড়ে এবং আবার দ্রুত কমে যায়। প্রোটিন যোগ করলে হজম ধীর হয় এবং শক্তি দীর্ঘসময় ধরে থাকে। সকালের খাবারে ডিম, দই, ডাল, বাদাম, বীজ বা সবজির সঙ্গে গোটা শস্য রাখা যেতে পারে।
২. প্রতিটি খাবারে পুষ্টির ভারসাম্য বজায় রাখুন
শুধু কার্বোহাইড্রেট নির্ভর খাবার রক্তে শর্করার স্পাইক বাড়ায়। কার্বোহাইড্রেটের সঙ্গে প্রোটিন, স্বাস্থ্যকর চর্বি ও ফাইবার যুক্ত করলে গ্লুকোজ ধীরে শোষিত হয়। এতে শক্তি বজায় থাকে এবং হঠাৎ ক্লান্তি বা ক্ষুধা কমে।
৩. খাবার বাদ না দিয়ে নির্দিষ্ট সময় পরপর খান
খাবার এড়িয়ে গেলে রক্তে শর্করা হঠাৎ কমে যেতে পারে, যা পরে অতিরিক্ত খাওয়ার কারণ হয়। নিয়মিত বিরতিতে খাবার খেলে ব্লাড সুগার স্থিতিশীল থাকে এবং সারাদিন শক্তি ভালোভাবে নিয়ন্ত্রণে থাকে।
৪. খাবারের ফাঁকে প্রোটিনসমৃদ্ধ স্ন্যাকস বেছে নিন
বিস্কুট বা মিষ্টির বদলে প্রোটিনযুক্ত খাবার খেলে রক্তে শর্করা দ্রুত বাড়ে না। বাদাম, বীজ, দই, সেদ্ধ ডিম বা ভাজা ডাল ভালো বিকল্প হতে পারে।
৫. প্রতিটি খাবারে ফাইবারের পরিমাণ বাড়ান
ফাইবার রক্তে চিনির শোষণ ধীর করে এবং খাবারের পর গ্লুকোজ হঠাৎ বেড়ে যাওয়া কমায়। পাশাপাশি এটি দীর্ঘসময় পেট ভরা রাখে। শাকসবজি, খোসাসহ ফল, ডাল ও গোটা শস্য প্রাকৃতিকভাবে ফাইবারে সমৃদ্ধ এবং ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে সহায়ক।

