img

মার্কিন বিচার বিভাগ গত শুক্রবার কুখ্যাত যৌন নিপীড়ক প্রয়াত জেফরি এপস্টেইনের তদন্তের কয়েক হাজার পৃষ্ঠার নথিপত্র প্রকাশ করেছে। ওই নথিতে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন, ব্রিটিশ রাজপরিবারের সদস্য, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও তারকাদের দেখা গেছে। তবে আলোচনা বেড়েছে ক্লিনটনের সঙ্গে থাকা এপস্টেইনের ছবি ঘিরে।

যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ক্লিনটনের মুখপাত্র শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) রাতে হোয়াইট হাউসের বিরুদ্ধে এ নিয়ে কড়া অভিযোগ তুলেছেন। তার দাবি, যৌন অপরাধে অভিযুক্ত জেফরি এপস্টেইনের সঙ্গে ক্লিনটনের কিছু পুরোনো ছবি প্রকাশ করে হোয়াইট হাউস ইচ্ছাকৃতভাবে তাকে ‘বলির পাঁঠা’ বানাচ্ছে।

ছবির মধ্যে রয়েছে—এপস্টেইন ও তার সহযোগী গিসলেন ম্যাক্সওয়েলের সঙ্গে ক্লিনটনের ছবি, পাশাপাশি একটি সুইমিং পুলে এক তরুণীর সঙ্গে থাকা একটি ছবিও। ছবিতে ওই নারীর মুখ ঝাপসা করে দেওয়া হয়েছে।

ক্লিনটনের মুখপাত্র এক্স-এ দেওয়া বিবৃতিতে বলেন, হোয়াইট হাউস মাসের পর মাস এসব নথি লুকিয়ে রেখে শুক্রবার গভীর রাতে হঠাৎ প্রকাশ করেছে। এটা মূলত বিল ক্লিনটনকে রক্ষা করার জন্য নয়, বরং নিজেদের রক্ষার জন্য।

বিবৃতিতে তিনি জানান, হোয়াইট হাউসের চিফ অব স্টাফ সুজি ওয়াইলস নিজেও স্বীকার করেছেন, বিল ক্লিনটন এপস্টেইনের ক্যারিবীয় দ্বীপে যাননি। যদিও সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বারবার এমন দাবি করে আসছেন।

তবে ক্লিনটন দীর্ঘদিন ধরেই বলে আসছেন, তিনি ২০০৫ সালের দিকে এপস্টেইনের সঙ্গে সব সম্পর্ক ছিন্ন করেন। এর কিছু সময় পরই এপস্টেইন ফ্লোরিডায় অপ্রাপ্তবয়স্ককে যৌন কাজে প্রলুব্ধ করার অভিযোগে দোষ স্বীকার করেন।

ক্লিনটনের মুখপাত্র অ্যাঞ্জেল উরেনা বলেন, এখানে দুই ধরনের মানুষ আছে। একদল কিছুই জানত না এবং অপরাধ প্রকাশ পাওয়ার আগেই এপস্টেইনের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেছিল। আরেক দল অপরাধের পরও সম্পর্ক বজায় রেখেছিল। আমরা প্রথম দলের অন্তর্ভুক্ত। দ্বিতীয় দলের লোকজন যতই বিষয়টি টেনে নিতে চায়, সত্য বদলাবে না। বিশেষ করে MAGA (মেইক আমেরিকা গ্রেট এগেইন) সমর্থকেরা—বলির পাঁঠা নয়, প্রকৃত জবাব চায়।

শুক্রবার প্রকাশিত ছবিগুলোর মধ্যে একটি ছবিতে দেখা যায়, ম্যাক্সওয়েলের সঙ্গে একটি ভূগর্ভস্থ সুইমিং পুলে ক্লিনটন দাঁড়িয়ে আছেন। আরেকটি ছবিতে দেখা যায়, মিক জ্যাগারসহ কয়েকজন পরিচিত ব্যক্তির সঙ্গে এপস্টেইনের উপস্থিতিতে নৈশভোজে অংশ নিচ্ছেন তিনি। যা নিয়ে শুরু হয় আলোচনা।

মার্কিন সংবাদমাধ্যমের তথ্যমতে, ক্লিনটনের প্রেসিডেন্সির শুরুর দিকে এপস্টেইন অন্তত ১৭ বার হোয়াইট হাউস সফর করেছিলেন। এছাড়া ২০০১ সালে প্রেসিডেন্ট পদ ছাড়ার পর এপস্টেইনের ব্যক্তিগত বিমানে করে এশিয়া ও আফ্রিকায় সফর করেন ক্লিনটন। তবে এপস্টেইন কাণ্ডে জড়িত থাকার বিষয়ে ক্লিনটনের বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো অভিযোগ আনা হয়নি।

এই বিভাগের আরও খবর


সর্বশেষ