img

পাথরকুচি গাছের পাতা রোগ প্রতিরোধে অতুলনীয়। পুরোনো সর্দিতে এই পাতার রস গরম করে খেলে উপকার পাওয়া যায়। ছোট ও বড় সবার মূত্র রোধে পাতার রস খাওয়ানো হয়। খাওয়ার মাত্রা বড়দের বেশি। আর মূত্রনালীর যে কোনো সংক্রমণে, রক্তপিত্তে, পেট ফাঁপায়, শিশুদের পেটব্যথায় এবং মৃগী রোগীদের পাথরকুচির রস খাওয়ানো হয়।

মূত্রথলির পাথর সারিয়ে দিতে সক্ষম হয় পাথরকুচি পাতা। এ ছাড়া ব্রণ, ক্ষত ও মাংসপেশি থেঁতলে গেলে, বিষাক্ত পোকায় কামড়ালে এই পাতার রস আগুনে সেঁকে লাগালে উপকার পাওয়া যায়।

পাথরকুচি গাছের পাতা আপনার মূত্রথলি ও কিডনির পাথর, মূত্রনালির সংক্রমণ, পেট ফাঁপা, শিশুর পেটব্যথা, রক্তপিত্তে সমস্যা, ব্রণ, ক্ষত বা থেঁতলে যাওয়া মাংসপেশিতে এর রস লাগালে দারুণ উপকার পাওয়া যায়। যা ঐতিহ্যগত চিকিৎসায় ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে।

জেনে নিন পাথরকুচি গাছের পাতার কিছু গুরুত্বপূর্ণ উপকারিতা—

  • ১. কিডনি ও মূত্রথলির পাথর: এটি মূত্রথলির পাথর ভাঙতে ও বের করে দিতে সাহায্য করে, যা মূত্রথলি ও কিডনির জন্য ভীষণ উপকারী।
  • ২. মূত্রনালীর সংক্রমণ: মূত্রনালীতে যে কোনো ধরনের সংক্রমণ সারাতে এর রস কার্যকর।
  • ৩. পেটের সমস্যা: পেট ফাঁপা, বদহজম ও শিশুদের পেটের ব্যথা কমাতে সাহায্য করে পাথরকুচি পাতা।
  • ৪. রক্তপিত্ত ও উচ্চ রক্তচাপ: রক্তপিত্তের সমস্যায় এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণেও এর ব্যবহার প্রচলিত।
  • ৫. ত্বকের সমস্যা: ব্রণ, ফোড়া, ক্ষত ও মাংসপেশি থেঁতলে গেলে এর রস আগুনে সেঁকে বা সরাসরি লাগালে উপকার পাওয়া যায়।
  • ৬. বিষাক্ত পোকার কামড়: বিষাক্ত পোকা বা সাপের কামড়ে এর রস লাগালে বিষের প্রভাব কমে।

ব্যবহার পদ্ধতি

সাধারণত পাথরকুচি গাছের পাতা বেটে রস করে খাওয়া হয়, অথবা সরাসরি ত্বকে প্রয়োগ করা হয়। তবে কোনো জটিল রোগের জন্য ব্যবহারের আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

এই বিভাগের আরও খবর