img

বলিউড অভিনেত্রী রাধিকা আপ্তে মানেই আনকাট সেন্সর। তথাকথিত মসলাদার সিনেমায় কোনো দিনই দেখা যায়নি তাকে। অন্যধারার সিনেমার মাধ্যমেই দর্শকমনে পাকা জায়গা করে নিয়েছেন ‘পার্চড’ নায়িকা। বলিউডে তার ফিল্মি ক্যারিয়ার মসৃণ ছিল তেমনটি নয়। তবে আজকের এই জনপ্রিয় নায়িকা বহুবার ‘রিজেকশন’-এর মুখোমুখি হয়েছেন এবং আজও হচ্ছেন।

এবার দক্ষিণী সিনেমা ইন্ডাস্ট্রি নিয়ে বোমা ফাটালেন অভিনেত্রী। সেখানে কাজের অভিজ্ঞতা সুখকর ছিল না তার। সেই সময় কয়েকটি সিনেমায় কাজ করার জন্য তিনি 'কঠিন সময়' পার করছিলেন। তবে কারও নাম প্রকাশ করেননি অভিনেত্রী। এক সিনেমার শুটিংয়ে নায়িকাকে আরও সেক্সি করে তুলতে গোপনাঙ্গে জোর করে প্যাড ব্যবহার করতে বলেছিলেন পরিচালক। সিনেমার জন্য স্তনে ও নিতম্বে প্যাডিং যুক্ত করতে বলেছিলেন তিনি।

রাধিকা বলেন, আমি দক্ষিণ ভারতের কিছু সিনেমা করেছি। কারণ আমার সত্যিই টাকার দরকার ছিল। ব্যাপারটি হলো— এমন ভালো সিনেমাও রয়েছে, বিশেষত দক্ষিণ ভারতে। কিন্তু আমি দক্ষিণী সিনেমা ইন্ডাস্ট্রিকে নিচু করার চেষ্টা করছি না। কারণ প্রতিটি ইন্ডাস্ট্রিতে অবিশ্বাস্য সিনেমা তৈরি হচ্ছে।

তিনি বলেন, আমার মনে আছে যে, একটি সিনেমা আমি করেছি। আমি বুঝতে পেরেছিলাম যে, এই ছোট্ট শহরে শুটিং করার সময় সেটে আমিই একমাত্র নারী। তারা আমার নিতম্বে ও স্তনে আরও প্যাডিং যুক্ত করতে চেয়েছিল। তাদের মুখে এক বুলি— 'আরও প্যাডিং আম্মা!' এবং আমি একসময় বিরক্ত হয়ে বলি— কাউকে আর কত গোলগাল বানাতে চান? 

অভিনেত্রী বলেন, সেটে আমিই ছিলাম একমাত্র নারী! আমার কোনো ম্যানেজার ছিল না, কোনো এজেন্ট ছিল না। দলটিতে সবাই পুরুষ ছিল। তিনি বলেন, সেদিন প্রথমবারের মতো আমি বুঝতে পেরেছিলাম, ওহ মাই গুডনেস!  'অল ইন অল আঝাগু রাজা', 'ভেট্রি সেলভান' এবং 'কাবালি'র মতো তামিল সিনেমায় কাজ করেছি। নিন্দুমোরি বালাকৃষ্ণের বিপরীতে লেজেন্ড নামের একটি তেলেগু সিনেমাতেও অভিনয় করেছিলেন বলে জানান রাধিকা।

তবে এই প্রথম নয়, এর আগেও ইন্ডাস্ট্রির নোংরা দিকের সঙ্গে পরিচিত হয়েছিলেন অভিনেত্রী। এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছিলেন, নিজের শরীরকে বদলে ফেলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল তাকে। তাকে প্রথমে নাকের সার্জারি, আর তারপর স্তন ট্রান্সপ্লান্ট করার কথাও বলা হয়েছিল। এমনকি অভিনেত্রী পা, থুতনি, গালেও খুঁত ধরে সেগুলো অস্ত্রোপচার করারও পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। হাসতে হাসতে রাধিকা বলেন, চুলে রঙ করতে আমার ৩০ বছর সময় লেগেছে।

এসব পরামর্শকে কোনো দিনই গায়ে মাখেননি রাধিকা আপ্তে। আসলে শরীরে যত্ন নেওয়ায় বিশ্বাসী হলেও সেটি পালটে ফেলতে রাজি নন তিনি, পাশাপাশি নিজের অভিনয় দক্ষতাকে ঘষে মেজে আরও নিঁখুত করে তুলতেই বেশি মনোযোগ দেন তিনি। 

উল্লেখ্য, রাধিকা আপ্তে হিন্দি, তামিল, তেলেগু, কন্নড়, বাংলা এবং মালায়লামসহ বেশ কয়েকটি ভাষায় অভিনয় করেছেন। সম্প্রতি তার দুটি ওটিটি সিরিজে দেখা গেছে, সালি মোহাব্বত যা জি-৫ এ মুক্তি পেয়েছে এবং রাত আকেলি হ্যায়- দ্য বনসাল মার্ডারস, যা নেটফ্লিক্সে মুক্তি পেয়েছে।

এই বিভাগের আরও খবর