চবিতে শহীদ ওসমান হাদির গায়েবানা জানাজা
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শহীদ শরিফ ওসমান হাদির গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার (২০ ডিসেম্বর) জোহরের নামাজের পর জিরো পয়েন্টে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (চাকসু) উদ্যোগে এ জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। নামাজে ইমামতি করেন আরবি বিভাগের অধ্যাপক ড. আকম আবদুল কাদের।
এতে উপস্থিত ছিলেন- দর্শন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মোজাম্মেল হক, চবি শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি মোহাম্মদ আলী, চাকসুর ভিপি ইব্রাহিম হোসেন রনি, চাকসুর জিএস সাঈদ বিন হাবিব প্রমুখ।
জানাজার আগে বক্তৃতায় অধ্যাপক মোজাম্মেল হক বলেন, আমরা ওসমান হাদির মতো কোনো সন্তানকে হারাতে চাই না। আমরা জীবনের বৃত্ত পূরণ করে ফেলেছি, আমাদের জীবনের বিনিময়ে হলেও আল্লাহ যেন এ সন্তানগুলো বাঁচিয়ে রাখেন। ওসমান হাদি আমাদের দেখিয়ে গেছে কিভাবে স্বার্থের ঊর্ধ্বে উঠে ন্যায় নীতির ওপর চলতে হয়, কিভাবে দেশের জন্য আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে লড়তে হয়।
চাকসুর ভিপি ইব্রাহিম হোসেন রনি বলেন, আমাদের ভাই ওসমান হাদি মাত্র ৩৩ বছর বয়সে বাংলাদেশকে নাড়িয়ে দিয়েছেন। এত কমবয়সে এই ইতিহাস কেউ করেনি। ওসমান হাদি যেমন প্রকৃত শত্রু চিনতে পেরেছিল, তেমনি তার শত্রুরা প্রকৃত দেশপ্রেমিক মানুষ চিনতে পেরেছিল। তিনি তার অল্প বয়সে এত প্রভাব বিস্তার করেছিল যে পুরো ভারতীয় আধিপত্যবাদ কেঁপে উঠেছে।
এর আগে শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) রাজধানীর বিজয়নগর এলাকায় নির্বাচনি প্রচারণার সময় মোটরসাইকেলে আসা সন্ত্রাসীদের গুলিতে মাথায় গুরুতর হন ওসমান হাদি। পরে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে পরদিন এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরদিন অবস্থার অবনতি হলে সিঙ্গাপুর পাঠানো হয় হাদিকে। সেখানে বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

