img

সব জল্পনা কল্পনা শেষে অবশেষে লক্ষ্মীপুরের চারটি আসনেই চলে গেল ধানের শীষ প্রার্থীদের দখলে।  

লক্ষীপুর-২ আসনে আবুল খায়ের ভুঁইয়া, লক্ষীপুর-৩ আসনে শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, লক্ষ্মীপুর-১ আসনে শাহাদাত হোসেন সেলিম ও লক্ষীপুর-৪ আসনে আশরাফ উদ্দিন নিজানের নাম সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে চূড়ান্ত করা হয়েছে।

জানা যায়, ঘোষিত সম্ভাব্য প্রার্থীদের নিয়ে শনিবার রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে শেষ দিনের বৈঠকে লক্ষীপুরের চারটি আসনের প্রার্থীদের ডাকা হয়েছে। এর মধ্যে দিয়ে নিশ্চিত হয়েছে এই চারটি আসনে কোনো শরিক নয়, ধানের শীষ পেয়েছেন বিএনপির নেতারাই। চারটির মধ্যে লক্ষীপুর-২ আসনে আবুল খায়ের ভুঁইয়া, লক্ষীপুর-৩ আসনে শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি বিএনপির প্রথম দফার ঘোষিত প্রার্থী তালিকায় ছিলেন। এরপর লক্ষীপুর-১ ও ৪ আসন নিয়ে এক ধরনের জল্পনা ছিল শরিকদের জন্য ছেড়ে দেওয়া হতে পারে।

লক্ষ্মীপুর-১ আসনে বাংলাদেশ এলডিপির চেয়ারম্যান ও ১২ দলীয় জোটের মুখপাত্র শাহাদাত হোসেন সেলিম নিজের বিলুপ্ত ঘোষণা দিয়ে বিএনপিতে যোগ দেন। ফলে লক্ষ্মীপুর-১ আসনটি ধানের শীষের প্রার্থী হিসেবে চূড়ান্ত হয়ে যায়। অন্যদিকে লক্ষ্মীপুর-৪ (রামগতি-কমলনগর) আসনটি ফাঁকা রাখা হয়। মিত্র বিবেচনায় এ আসনটি জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডির জন্যই বিএনপি ফাঁকা রেখেছে-  এমন ধারণা থেকে মাঠে প্রচারণাও চালায় দলটি।

বিশ্বস্ত একটি সূত্র জানায়, বৈঠক ডাকার মধ্য দিয়ে লক্ষীপুর-৪ আসনটিতেও বিএনপির কেন্দ্রীয় বিএনপির সহশিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক আশরাফ উদ্দিন নিজানের মনোনয়ন চূড়ান্ত হলো। এখন এ আসনটি আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা দেওয়া অপেক্ষামাত্র। ফলে লক্ষ্মীপুরের চারটি আসনেই ধানের শীষের প্রার্থী পেতে যাচ্ছে।

সূত্র আরও জানান, ইতোমধ্যে প্রথম এবং দ্বিতীয় ধাপে ঘোষিত কয়েকজন প্রার্থীকে আজকের এ গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে অংশগ্রহণের সুযোগ দেয়নি বিএনপি। এর অর্থ হচ্ছে ওই আসনে বিএনপি নতুন কাউকে বিবেচনায় রাখছে। যেমনি লক্ষীপুর-৪ আসনটি মিত্রদের দাবি থাকলেও আজকের বৈঠকে নিজানকে অংশগ্রহণের সুযোগ দিয়েছেন বিএনপির নীতিনির্ধারকরা। এতে বুঝা যায় লক্ষ্মীপুর-৪ আসনটিতে ভোট করবে বিএনপির দলীয় প্রার্থী আশরাফ উদ্দিন নিজান।

আশরাফ আগে থেকেই দলীয় প্রার্থী হিসেবে ধানের শীষের পক্ষে প্রচারণা চালিয়ে আসছেন। এর আগেও তিনি এই আসনের দুবারের সংসদ সদস্য ছিলেন।

গত ৩ নভেম্বর প্রথম দফায় ২৩৬টি আসনে এবং ৪ ডিসেম্বর আরও ৩৬টি আসনে সম্ভাব্য প্রার্থী ঘোষণা করে বিএনপি। ফলে মোট ২৭২টি আসনে সম্ভবাব্য প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করা হয়। গত বুধবার থেকে ধারাবাহিকভাবে তিনদিন ধরে সম্ভাব্য প্রার্থীদের সঙ্গে বৈঠক করছে বিএনপি। এতে প্রধান অতিথি হিসাবে ভার্চুয়ালি দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান নানা দিক-নির্দেশনামূলক বক্তব্য দেন। আজ এই বৈঠকের শেষ দিন।

এই বিভাগের আরও খবর