আদালতে মেহজাবীন চৌধুরীর জবাব দাখিলের শুনানি পেছাল
জনপ্রিয় অভিনেত্রী মেহজাবীন চৌধুরী ও তার ভাই আলিশান চৌধুরীর বিরুদ্ধে হুমকি-ধামকির অভিযোগে দায়ের হওয়া মামলার বিষয়ে জবাব দাখিলের তারিখ পিছিয়ে আগামী ১২ জানুয়ারি ধার্য করেছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) ঢাকার ৩ নং নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে জবাব দাখিলের জন্য দিন ধার্য ছিল। কিন্তু সংশ্লিষ্ট আদালতের বিচারক বদলি জনিত কারণে জবাব দাখিল সংক্রান্ত শুনানি হয়নি। এজন্য পরবর্তী শুনানির জন্য আগামী ১২ জানুয়ারি নতুন তারিখ ধার্য করেন।
আসামি পক্ষের আইনজীবী তুহিন হাওলাদার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, সংশ্লিষ্ট আদালতের বিচারক সাম্প্রতিক সময়ে অন্যত্র বদলি হওয়ায় এই মামলার নির্ধারিত তারিখে শুনানি গ্রহণ করা সম্ভব হয়নি। বিচারক অনুপস্থিত থাকায় মামলার কার্যক্রম স্থগিত থাকে এবং আদালতের প্রচলিত বিধি ও নিয়ম অনুযায়ী মামলাটির শুনানির জন্য একটি নতুন তারিখ নির্ধারণ করা হয়। পরবর্তীতে আদালতে নতুন বিচারক যোগদান করার পর মামলার নথিপত্র পুনরায় উপস্থাপনপূর্বক এই মামলার শুনানি নেওয়া হবে।
এ কারণে আদালতের আদেশক্রমে মামলাটি পরবর্তী তারিখ পর্যন্ত মুলতবি রাখা হয় এবং নির্ধারিত তারিখে পক্ষগণকে উপস্থিত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়। নতুন নির্ধারিত তারিখে বিচারক উপস্থিত থাকলে মামলাটির শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।
এর আগে, গত ১৬ নভেম্বর সন্ধ্যায় আত্মসমর্পণ করে জামিন পান অভিনেত্রী মেহজাবীন চৌধুরী ও তার ভাই আলিশান চৌধুরী। ঢাকার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-৩ আফরোজা হক তানিয়ার আদালত তাদের জামিন মঞ্জুর করেন।
বাদীর অভিযোগ থেকে জানা গেছে, দীর্ঘদিন পরিচয়ের সুবাদে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে অভিযুক্ত মেহজাবীন চৌধুরী বাদীকে নতুন পারিবারিক ব্যবসার পার্টনার হিসেবে রাখবে বলে নগদ অর্থ এবং বিকাশের মাধ্যমে বিভিন্ন তারিখ ও সময়ে মোট ২৭ লাখ টাকা নেন। এরপর মেহজাবীন ও তার ভাই দীর্ঘদিন ব্যবসায়িক কার্যক্রম শুরুর উদ্যোগ না নেওয়ায় বাদী বিভিন্ন সময় টাকা চাইতে গেলে কালক্ষেপণ করেন। পরবর্তীতে গত ১১ ফেব্রুয়ারি পাওনা টাকা চাইতে গেলে তারা ১৬ মার্চ হাতিরঝিল রোডের পাশে একটি রেস্টুরেন্টে আসতে বলেন।
আরও বলা হয়, ওইদিন ঘটনাস্থলে গেলে মেহজাবীন ও তার ভাইসহ আরো অজ্ঞাতনামা চার-পাঁচ জন অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। তারা বলেন, ‘এরপর তুই আমাদের বাসায় টাকা চাইতে যাবি না, তোকে বাসার সামনে পুনরায় দেখলে জানে মেরে ফেলব।’ এসব কথা বলে তারা বাদীকে জীবননাশের হুমকি ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করেন। বিষয়টি সমাধানের জন্য সংশ্লিষ্ট ভাটারা থানায় গেলে থানা কর্তৃপক্ষ আদালতে মামলা দায়ের করার জন্য পরামর্শ দেন।
এ ঘটনায় আমিরুল ইসলাম বাদী হয়ে ঢাকার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ফৌজদারী কার্যবিধির ১০৭ ও ১১৭(৩) ধারায় মামলাটি করেন।
এ মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানার খবর ছড়িয়ে পড়ার পর মেহজাবীন চৌধুরী তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে জানিয়েছিলেন, অনলাইনে তার নাম ব্যবহার করে ভিত্তিহীন মামলা সংক্রান্ত সংবাদ ছড়ানো হচ্ছে। তিনি সাংবাদিকদের যাচাই-বাছাই করে সংবাদ প্রকাশের অনুরোধও জানান।

