img

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্যের (অ্যাকাডেমিক) বুদ্ধিজীবী হত্যা নিয়ে দেওয়া বক্তব্য প্রকাশ্য ও নিঃশর্ত প্রত্যাহার, ইতিহাস বিকৃতির জন্য জাতির কাছে ক্ষমা প্রার্থনা, ভবিষ্যতে এ ধরনের দায়িত্বহীন বক্তব্য থেকে বিরত থাকার দৃঢ় অঙ্গীকারের দাবি জানিয়েছে চবি জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরাম।

মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) রাতে জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের সভাপতি অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আল আমীন ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মোহাম্মদ জাহেদুর রহমান চৌধুরী স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে এ দাবি জানানো হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, মুক্তিযুদ্ধ বাংলাদেশের অস্তিত্ব, আত্মপরিচয় ও স্বাধীনতার ভিত্তি। এই ঐতিহাসিক সত্যকে খাটো করা, বিভ্রান্তিকর ব্যাখ্যা প্রদান করা কিংবা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ইতিহাসের বিকৃতি ঘটানো কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। বিশেষ করে এমন একজন ব্যক্তির কাছ থেকে, যিনি একটি সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠের দায়িত্বশীল প্রশাসনিক পদে অধিষ্ঠিত।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, দেশপ্রেমিক ছাত্রসংগঠনগুলোর আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বিভ্রান্তিকর ও দায়সারা ব্যাখ্যা প্রচার করেছে এবং আজ ১০১ জন শিক্ষক বিবৃতি দিয়েছেন। আমরা মনে করি, এসব কর্মকাণ্ড দায়িত্বশীল পদে থেকে ইতিহাসের প্রশ্নে অসত্য, বিভ্রান্তি বা বিকৃতি ছড়ানোকে আড়াল করার হীন প্রয়াস, যা কেবল বিশ্ববিদ্যালয়ের মর্যাদাকেই ক্ষুণ্ণ করে না, বরং ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে ভ্রান্ত ইতিহাসে দীক্ষিত করার শামিল।

জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরাম বলেছে, মুক্তিযুদ্ধ কোনো ব্যক্তিগত ব্যাখ্যার বিষয় নয়। এটি জাতির সর্বসম্মত ইতিহাস। একে বিকৃত করার যেকোনো প্রচেষ্টা জাতির চেতনার বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ার নামান্তর।

বিবৃতিতে অবিলম্বে উপ-উপাচার্যের বক্তব্যের প্রকাশ্য ও নিঃশর্ত প্রত্যাহার, ইতিহাস বিকৃতির জন্য জাতির কাছে ক্ষমা প্রার্থনা, ভবিষ্যতে এ ধরনের দায়িত্বহীন বক্তব্য থেকে বিরত থাকার দৃঢ় অঙ্গীকারের দাবি জানানো হয়।

এতে আরও বলা হয়, বিবৃতি দেওয়া ১০১ জন ব্যতীত চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সব শিক্ষক মুক্তিযুদ্ধের চেতনার আলোয় সত্য, ইতিহাস ও জাতীয় মর্যাদা রক্ষায় সব সময় অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতি রোধে আমরা ঐক্যবদ্ধ।

 

এই বিভাগের আরও খবর