রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল। নতুন করে তার স্বাস্থ্যের কোনো পরিবর্তন না হওয়ায় ইলেকটিভ ভেন্টিলেটর সাপোর্টে রয়েছেন তিনি। শনিবার রাতে মেডিকেল বোর্ডের একজন সদস্য জানান, ম্যাডামের (খালেদা জিয়া) শারীরিক অবস্থা আগের মতোই রয়েছে। এখানে অত্যন্ত নিখুঁতভাবে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক টিম টাইম টু টাইম পর্যবেক্ষণ করছে। তার শরীরে গুরুতর ইনফেকশনের কারণে উন্নত অ্যান্টিবায়োটিক ও অ্যান্টিফাঙ্গাল চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার খালেদা জিয়ার চিকিৎসার সবশেষ খবর জানিয়ে মেডিকেল বোর্ড এক বার্তায় জানায়, গত কয়েক দিনের বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষায় তার শ্বাসকষ্ট বেড়ে যাওয়া, রক্তে অক্সিজেনের পরিমাণ কমে যাওয়াসহ বেশকিছু জটিলতা পাওয়া যায়। অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় তার ফুসফুস ও অন্যান্য অর্গানকে বিশ্রাম দেওয়ার জন্য ইলেকটিভ ভেন্টিলেটর সাপোর্টে নেওয়া হয়। কিডনির কার্যক্ষমতা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বিএনপি চেয়ারপারসনের ডায়ালাইসিস হয়। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ২৩ নভেম্বর থেকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ৮০ বছর বয়সি সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন থেকে আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিসের পাশাপাশি কিডনি, লিভার, ফুসফুস, হৃদযন্ত্র, চোখের সমস্যাসহ নানা জটিলতায় ভুগছেন।

পরে অবস্থার অবনতি হলে ২৭ নভেম্বর তাকে নেওয়া হয় ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ)। খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় গঠিত দেশি-বিদেশি অন্তত ৩০ জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সমন্বয়ে গঠিত মেডিকেল বোর্ড প্রতিদিন বৈঠক করে চিকিৎসায় পরিবর্তন আনছেন।

এদিকে দেশে ফেরার পর মেডিকেল বোর্ডের বৈঠকে অংশ নিচ্ছেন খালেদা জিয়ার বড় পুত্রবধূ ডা. জোবাইদা রহমান। বেশির ভাগ সময় হাসপাতালে শাশুড়ির শয্যাপাশে কাটাচ্ছেন তিনি। বাসায় থাকার সময়ও টেলিফোনে টাইম টু টাইম উনি তার শাশুড়ির স্বাস্থ্যের খোঁজখবর রাখছেন। চিকিৎসার বিষয়গুলো তিনি সমন্বয় করছেন। হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক শাহাবউদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে এভারকেয়ার হাসপাতালে খালেদা জিয়ার চিকিৎসা চলছে।