ডাউনিং স্ট্রিটের ‘ল্যারি’র পর আলোচনায় বেলজিয়ামের ‘ম্যাক্সিমাস’
ডাউনিং স্ট্রিটে ‘ল্যারি’ নামের ট্যাবি বিড়ালের কথা কে না জানে। তবে ‘ল্যারি’র জনপ্রিয়তা এবার যেন ভাটা পড়েছে ‘ম্যাক্সিমাস’র কাছে। বেলজিয়ামের প্রধানমন্ত্রী বার্ট ডে ওয়েভারের ‘ম্যাক্সিমাস’ নামের এই গোঁফওয়ালা সঙ্গী তারকা হয়ে উঠেছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।
ফ্লেমিশ রক্ষণশীল এই নেতা একটি আশ্রয়কেন্দ্র থেকে ধূসর রঙের তুলতুলে ম্যাক্সিমাসকে দত্তক নেন। অল্প সময়ের মধ্যেই বিড়ালটি ইনস্টাগ্রামে খুব পরিচিত মুখ হয়ে উঠেছে। কখনো সুতো নিয়ে খেলছে, কখনো আবার মালিকের অফিসে আরামে শুয়ে আছে—এমন নানা মুহূর্তের ছবি বেশ ভাইরাল।
তবে যেখানে ব্রিটেনের ল্যারি রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠে ছয়জন প্রধানমন্ত্রীর ‘চিফ মাউসার’ হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে, সেখানে ডে ওয়েভারের চারপেয়ে সঙ্গীর কাহিনিতে যুক্ত হয়েছে বেলজিয়ামের টালমাটাল রাজনীতিকে নিয়ে খানিকটা তীক্ষ্ণ ব্যঙ্গ-রস।
কার্টুনের বুদ্বুদে ম্যাক্সিমাসকে দেখা যায় ফ্লেমিশ ভাষায় কটাক্ষপূর্ণ মন্তব্য করতে। দেশটির দীর্ঘদিনের বাজেট অচলাবস্থা, ডে ওয়েভারের কৃচ্ছ্রতা নীতির বিরুদ্ধে ধর্মঘট, কিংবা তরুণ বেলজিয়ানদের জন্য প্রস্তাবিত স্বেচ্ছাসেবী সামরিক সেবা—সবকিছু নিয়েই তার ‘চিন্তাভাবনা’ তুলে ধরা হয়।
জুলাইয়ে ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট চালুর ছয় মাসও না যেতেই, অনুসারীর সংখ্যায় ম্যাক্সিমাস প্রায় তার মালিককেই ছাড়িয়ে গেছে।
অ্যাকাউন্টটির নাম @maximustp16। এর অর্থ ‘ম্যাক্সিমাস টেক্সটোরিস পুলকার’, যা ডে ওয়েভারের নামের একটি সাংকেতিক ইঙ্গিত; ডাচ ভাষায় যার মানে দাঁড়ায় ‘দ্য উইভার’ বা ‘তাঁতি’।
ঘনিষ্ঠ সূত্র জানায়, এই ‘ফেল-ইনফ্লুয়েন্সার’-এর পোস্টগুলো মূলত প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত সহকারীই আপলোড করেন।

