img

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার বোন শেখ রেহানা ও রেহানার মেয়ে ব্রিটিশ এমপি টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলায় সর্বোচ্চ শাস্তির বিধান রয়েছে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড। কিন্তু আইনে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত পেতে পারে এমন কোনো আসামির ক্ষেত্রে রাষ্ট্র থেকে স্টেট ডিফেন্স নিয়োগ করা হয় না। ফৌজদারী কার্যবিধিতে এমনটাই উল্লেখ রয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক রবিউল আলম। 

রাজধানীর পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে প্লট বরাদ্দে জালিয়াতির অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় সোমবার (১ ডিসেম্বর) রায় প্রদানের সময় ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক রবিউল আলম বলেন, আইনে বলা আছে, কোনো ধারায় যদি আসামির মৃত্যুদণ্ড হয় তখন রাষ্ট্র থেকে স্টেট ডিফেন্স নিয়োগের বিধান আছে। তবে এই মামলায় সর্বোচ্চ ধারা দণ্ডবিধির ৪০৯ ধারা, সে ধারাতে রয়েছে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড। তাই শেখ হাসিনা স্টেট ডিফেন্স সুবিধা পাননি।

আদালতের বিচারক রবিউল আলম বলেন, শেখ হাসিনাসহ অন্য আইনজীবীদের বিচারিক প্রক্রিয়া মোকাবিলা করার জন্য আদালতে এসে আত্মসমর্পন করে বিচারিক মোকাবিলা করা উচিত ছিল। 

রাজধানীর পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে প্লট বরাদ্দে জালিয়াতির অভিযোগে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পাঁচ বছর ও তার বোন শেখ রেহানার সাত বছর এবং শেখ রেহানার মেয়ে ব্রিটিশ এমপি টিউলিপ রেজওয়ানা সিদ্দিককে দুই বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এ ছাড়া তিনজনকেই এক লাখ টাকা করে জরিমানা এবং অনাদায়ে ছয় মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। বাকি আসামিদের পাঁচ বছর করে কারাদণ্ড ও এক লাখ টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে ছয় মাসের কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে। 

দুদকের অভিযোগ, টিউলিপ সিদ্দিক যুক্তরাজ্যের ক্ষমতাসীন দল লেবার পার্টির এমপির ক্ষমতা ব্যবহার করে মা শেখ রেহানা, বোন আজমিনা সিদ্দিক ও ভাই রাদওয়ান মুজিবের নামে পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে প্লট বরাদ্দ নেন। তিনজনই পূর্বাচলে ১০ কাঠা করে প্লট বরাদ্দ পেয়েছেন।

গণ-অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর শেখ হাসিনাসহ তাঁর পরিবারের অন্য সদস্যদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির নানা অভিযোগ ওঠে। একপর্যায়ে টিউলিপ সিদ্দিকের নামও আসে। দুর্নীতির একাধিক অভিযোগে বাংলাদেশে তদন্ত শুরুর পর সমালোচনার মুখে যুক্তরাজ্যের অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থনীতিবিষয়ক মিনিস্টারের (ইকোনমিক সেক্রেটারি) পদ থেকে গত ১৪ জানুয়ারি পদত্যাগ করেন তিনি।

এর আগে ২৭ নভেম্বর তিন মামলায় শেখ হাসিনার ২১ বছর, এক মামলায় সজীব ওয়াজেদ জয়ের ৫ বছর ও সায়মা ওয়াজেদ পুতুলকে ৫ বছর কারাদণ্ড দেন অপর একটি আদালত।

এই বিভাগের আরও খবর