img

আর্সেনাল যেন রীতিমতো উড়ছে। প্রিমিয়ার লিগে আছে শীর্ষে। চ্যাম্পিয়ন্স লিগেও তাই। এবার দলটা জার্মান জায়ান্ট বায়ার্ন মিউনিখকে ৩-১ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে। 

এমিরেটসে ম্যাচটি শুরুতে ধীরে চলছিল। তবে ২২তম মিনিটে বুকায়ো সাকার কর্নার থেকে জুরিয়েন টিম্বার হেড করে গোল করেন। ম্যানুয়েল নয়্যার হাত বাড়ালেও বল ছুঁতে পারেননি। এই গোল আবারও দেখিয়ে দেয় যে আর্সেনাল সেট-পিসে কতটা শক্তিশালী।

রবিবার টটেনহ্যামের বিপক্ষে হ্যাটট্রিক করা এবেরেচি এজের কাছে ব্যবধান বাড়ানোর ভালো সুযোগ ছিল। কিন্তু তিনি শটটা ঠিকমতো নিতে পারেননি।

এ সময় পর্যন্ত আর্সেনাল বেশ আধিপত্য বিস্তার করে খেলছিল। তবে ৩২তম মিনিটে হঠাৎই ম্যাচে ফিরে আসে বায়ার্ন। জোশুয়া কিমিখের লং বল সের্জ গেনাব্রি এক ছোঁয়ায় নামিয়ে নেন। তার বাড়ানো বলে লেননার্ট কার্ল আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে ডেভিড রায়ার জালে বল জড়ান। তিনি মাত্র ১৭ বছর বয়সেই বড় ম্যাচে এমন গোল করলেন।

দ্বিতীয়ার্ধ শুরু হতেই আর্সেনাল আবার চাপ বাড়ায়। সাকার জোরালো শটে নয়্যার বল বারের ওপর দিয়ে পাঠান। কিছুক্ষণ পর কার্ল ডান দিক দিয়ে দৌড় নিয়ে বক্সে ঢোকেন। কিন্তু তার শট দুর্বল ছিল, রায়া সহজেই ধরে ফেলেন।

চাপ বাড়তেই থাকে। মিকেল মেরিনো দুর্দান্ত কর্নার থেকে বল ঠিকমতো হেড করতে পারেননি। এরপর নয়্যার কাছ থেকে মাথা ঠেকানো ক্রিস্টিয়ান মস্কেরার শটও রুখে দেন। কিছুক্ষণ পর ডেকলান রাইস সামনে চলে আসলে নয়্যার পা দিয়ে বাঁচান। ফিরতি বলে সাকা গোল করতে পারেননি।

অবশেষে ৭০ মিনিটের দিকে আর্সেনালের চাপ ফল দেয়। বায়ার্ন ডিফেন্ডার দায়োত উপামেকানো ভুল পাস দেন। বাম দিক থেকে রিকার্দো ক্যালাফিওরি বল তুলে দেন। বদলি খেলোয়াড় নোনি মাদুয়েকে বল জালে পাঠান।

কিন্তু দুঃস্বপ্ন তখনও শেষ হয়নি বায়ার্নের জন্য। এবেরেচি এজে লম্বা বল পাঠান। নয়্যার তখন বক্সের অনেক বাইরে। গ্যাব্রিয়েল মার্টিনেল্লির প্রথম ছোঁয়ায় নয়্যার ছিটকে পড়েন। সামনে তখন ফাঁকা পোস্ট। মার্টিনেল্লি শান্তভাবে গোল করেন।

গ্যালারিতে থাকা আর্সেনাল সমর্থকরা তখন সাবেক টটেনহ্যাম খেলোয়াড় হ্যারি কেইনকে উদ্দেশ্য করে গান ধরেন। তারা বলেন, ‘হ্যারি, হ্যারি, হোয়াট’স দ্য স্কোর।’

দুই দলই এখনো লিগ পর্বের শীর্ষ আটে থাকার ভালো অবস্থানে আছে। এর মানে তারা শেষ ষোলোতে সরাসরি খেলতে পারবে।

এই বিভাগের আরও খবর