কোচ কাবরেরাকে নিয়ে সমালোচনা, জবাব দিলেন জামাল
২০২০ সালে সর্বশেষ নেপালকে হারিয়েছিল বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দল। এরপর গত পাঁচ বছরে হিমালয়ের দেশটির বিপক্ষে আর জয়ের মুখ দেখেনি লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। এবার নিজেদের মাঠে সেই জয়খরা কাটানোর বড় সুযোগ হাতছানি দিচ্ছে হাভিয়ের কাবরেরার শিষ্যদের। আগামী বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) রাত ৮টায় ঢাকার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে নেপালের বিপক্ষে মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ।
গুরুত্বপূর্ণ এই ফিফা আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচের আগের দিন, বুধবার (১২ নভেম্বর) সংবাদ সম্মেলনে কিছুটা তর্ক-বিতর্কের আবহ তৈরি হয়। দলের সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স নিয়ে হতাশা, কোচ হাভিয়ের কাবরেরার যোগ্যতা ও ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন ওঠে সাংবাদিকদের মুখে।
হামজা চৌধুরী ও সমিত সোমের মতো প্রবাসী তারকাদের দলে পাওয়া গেলেও পারফরম্যান্সে ঘাটতি থাকায় অনেকেই কোচের সমালোচনায় সরব। এদিকে প্রবাসীদের দুয়ার খুলেছিলেন অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া নিজেই। তবে এখন তিনি বেশিরভাগ সময়ই শুরুর একাদশের বাইরে। তবুও কোচের সিদ্ধান্তকে মেনে নিচ্ছেন নীরবে। কাবরেরা সম্পর্কে প্রশ্ন উঠলে কূটনৈতিকভাবে উত্তর দেন তিনি।
কোচ বদলের প্রয়োজন আছে কিনা—এমন প্রশ্নে জামাল বলেন, ‘এটা আমার সিদ্ধান্ত নয়, এটা বাফুফের বিষয়। আমি খেলোয়াড়, তাই খেলোয়াড়ের জায়গায় থাকতে চাই।’
কিছুদিন ধরেই বাংলাদেশের ফুটবলপ্রেমীদের একাংশ কাবরেরাকে বয়কটের ডাক দিয়েছেন, এমনকি কেউ কেউ স্টেডিয়ামে না যাওয়ার আহ্বানও জানিয়েছেন। এ বিষয়ে কাবরেরা বলেন, ‘সমালোচনা থাকবেই, আমি সেটা মেনে নিচ্ছি। তবে আমি বিশ্বাস করি, শেষ পর্যন্ত সবাই দলের পাশে থাকবে।’
এশিয়া কাপ বাছাইপর্ব থেকে ছিটকে যাওয়ার পর কাবরেরার মেয়াদ কার্যত শেষের পথে। তার বর্তমান চুক্তি আগামী বছরের মার্চ পর্যন্ত। তবে ভারত ম্যাচের পর জাতীয় দলের আর কোনো ম্যাচ নেই। তাই সেটিই হতে পারে তার শেষ দায়িত্ব পালন।
হামজা ও সমিতকে ঘিরে আলোচনার পরও নেপাল ম্যাচের টিকিট বিক্রি আশানুরূপ নয়। প্রচারণায় এই দুই তারকা ও জামাল ভূঁইয়াকে ব্যবহার করেও দর্শক টানতে পারেনি ফেডারেশন। এ প্রসঙ্গে জামাল বলেন, ‘ফেডারেশন একটা ছোট ভিডিও চেয়েছিল, আমরা করেছি। হয়তো অন্য ম্যাচে টিকিট আগেই শেষ হয়ে যেত, তাই তখন ভিডিওর প্রয়োজন হতো না।’
নেপালের অনেক খেলোয়াড়ই এখন বাংলাদেশ লিগে খেলছেন, জামালও নিয়মিত তাদের বিপক্ষে মাঠে নামেন। তাই প্রতিপক্ষ সম্পর্কে ভালো ধারণা থাকলেও তিনি হালকাভাবে নিচ্ছেন না নেপালকে, ‘ওরা শক্তিশালী দল। আমার ক্লাব ব্রাদার্স ইউনিয়নেও নেপালের চারজন খেলোয়াড় আছে। আমরা তাদের খাটো করে দেখছি না।’
দলের উন্নতি হয়েছে কিনা—এমন প্রশ্নে জামাল বলেন, ‘এখন ম্যাচ শুধু ৯০ মিনিটের নয়, অনেক সময় ৯৫ বা ৯৮ মিনিট পর্যন্ত চলে। তাই খেলোয়াড়দের সব সময় প্রস্তুত থাকতে হয়। সিঙ্গাপুর ম্যাচে আমাদের ভুল ছিল, কিন্তু সেটা থেকে শিক্ষা নিয়েছি। এমনটা আর হবে না।’

