তৃণমূলের চাওয়া হাসান মামুন, কেন্দ্রের ঝোঁক ভিপি নুরে
বরিশালের ফাঁকা পাঁচ আসনের মধ্যে গণঅধিকার পরিষদ সভাপতি নুরুল হক নুরের আসনেও প্রার্থী দেয়নি বিএনপি। জোট বা সমমনা দলকে বিএনপি আসনটি ছেড়ে দিলে নুরের প্রার্থী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সেক্ষেত্রে কপাল পুড়বে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা হাসান আল মামুনের। সবমিলিয়ে এই আসনে ধানের শীষের প্রার্থী নিয়ে দোলাচল সৃষ্টি হয়েছে।
এ আসনে জামায়াতের প্রার্থী অধ্যাপক শাহ আলম। তবে স্থানীয় নেতা ও সাধারণ ভোটাররা বলছেন, বিএনপির উচিত দলীয় প্রার্থী দেওয়া। সেটি না হলে ‘ধানের শীষ’ পরাজয়ের ঝুঁকিতে পড়তে পারে।
পটুয়াখালী-৩ (গলাচিপা-দশমিনা) আসনটিতে গুঞ্জন রয়েছে গণঅধিকার পরিষদ সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরকে ছাড়া হবে। এখানে বিএনপির একমাত্র মনোনয়ন প্রার্থী দলের জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য হাসান মামুন। জামায়াতের প্রার্থী অধ্যাপক শাহ আলম-যিনি ২০০১ ও ২০০৮-এর নির্বাচনে বিএনপির নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক ছিলেন। পালন করেন বিএনপি প্রার্থীর প্রধান নির্বাচনি এজেন্টের দায়িত্ব।
উপজেলা বিএনপির একাধিক নেতা বলেন, ‘এখানে গণঅধিকার পরিষদের সঙ্গে সাপে-নেউলে সম্পর্ক আমাদের। ৫ আগস্টের পর কয়েক দফা সংঘর্ষ মামলা-পালটা মামলাও হয়েছে। নূরকে আসন ছাড়া হলে স্বভাবতই তার পক্ষে কাজ করবে না তৃণমূল। ওদিকে জামায়াত প্রার্থীর সঙ্গে বহু আগে থেকেই সু-সম্পর্ক দলের ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন পর্যায়ের নেতাদের। টানা ১৭ বছর ধরে বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে মামলার আসামি হওয়া থেকে শুরু করে আদালতের বারান্দায় ছুটেছেন শাহ আলম। গণঅধিকারকে দেওয়া হলে প্রকাশ্যে না হলেও ভেতরে ভেতরে সবাই সমর্থন দেবে তাকে। ফলে জেতা মুশকিল হবে নূরের জন্য।
পটুয়াখালী জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মজিবুর রহমান বলেন, ‘সবকিছু সম্পর্কে ওয়াকিবহাল আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। কেবল এটুকু বলতে পারি যে, ধানের শীষের বাইরে প্রার্থী হলে জয় নিশ্চিত করা কঠিন হবে।’
শেষ পর্যন্ত বিএনপির হাইকমান্ড এই আসনে কাকে বেছে নেয় সেটির অপেক্ষায় গলাচিপা ও দশমিনার ভোটাররা।

