শফিকুল ইসলাম মাসুদের প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির কে?
২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। আর এই নির্বাচনকে সামনে রেখে ২৩৭টি আসনে প্রার্থীর প্রাথমিক তালিকা ঘোষণা করেছে বিএনপি। তবে আলোচনায় থাকা পটুয়াখালী-২ (বাউফল) আসনের প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হয়নি।
এই আসনে জামায়াত মনোনীত প্রার্থী বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ। তিনি জামায়াতে ইসলামীর ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সেক্রেটারি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
তবে এই আসনটিতে বিএনপির প্রার্থীর নাম ঘোষণা না করায় দলের ভিতরে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে।
কারণ, জোট বা সমমনা দলের প্রার্থী হিসাবে যাদের নাম শোনা যাচ্ছে-তাদের প্রায় চেনেই না এলাকার মানুষ। জামায়াতের শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বীর বিপরীতে ভোটের মাঠে এরা কতটা দাঁড়াতে পারবেন তা নিয়ে রয়েছে প্রশ্ন।
পটুয়াখালী-২ (বাউফল) এই আসটি থেকে বিএনপির মনোনয়ন চাইছেন দলের কেন্দ্রীয় সহ-দপ্তর সম্পাদক মুনির হোসেন, সাবেক এমপি শহিদুল আলম তালুকদার ও ইঞ্জিনিয়ার ফারুক তালুকদার। জামায়াতের প্রার্থী দলের প্রভাবশালী নেতা ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ। আসনটি এনসিপিকে ছেড়ে দেবে বিএনপি-এমন আলোচনা রয়েছে এলাকায়।
এনসিপির প্রার্থী হিসাবে শোনা যাচ্ছে দলের সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাড. মুজাহিদুল ইসলাম শাহিনের নাম। এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামের ঘনিষ্ঠ আত্মীয় শাহিনের বাবা মাওলানা ইসাহাক মিয়া বাউফল উপজেলা জামায়াতের আমির। শাহিন ২০১১ সালে ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রশিবিরের সাধারণ সম্পাদক।
৫ আগস্টের আগে এলাকায় তেমন পরিচিতি না থাকা শাহিন বর্তমানে সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল। বিএনপি নেতা ইঞ্জিনিয়ার ফারুক তালুকদার প্রতিষ্ঠিত কলেজের গর্ভনিং বডির সভাপতি। ড. মাসুদের সঙ্গেও রয়েছে তার ঘনিষ্টতা।
পটুয়াখালী জেলা বিএনপির সভাপতি স্নেহাংশু সরকার কুট্টি বলেন, ‘নামে এনসিপি হলেও অ্যাডভোকেট শাহিন তো জামায়াতেরই প্রতিরূপ। আসনটিতে বিএনপির বিজয় নিশ্চিত। আমরা চাই, এখানে ধানের শীষের কাউকে দেওয়া হোক।’

