ট্রাম্পের সঙ্গে যা নিয়ে আলোচনা করবেন সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট
যুক্তরাষ্ট্র সফরে গিয়েছেন সিরিয়ার অন্তবর্তী প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারা। যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় সোমবার (১১ নভেম্বর) তিনি হোয়াইট হাউসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন বলে জানা গেছে।
সিরিয়ার সরকারি সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট শারা শনিবার যুক্তরাষ্ট্র সফর শুরু করেছেন। তার এই সফরটি একটি ঐতিহাসিক সরকারি সফর হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। সফরের এক দিন আগে ওয়াশিংটন তাকে সন্ত্রাসবাদের কালো তালিকা থেকে সরিয়েছেন।
বিশ্লেষকদের মতে, ১৯৪৬ সালে স্বাধীনতার পর এটিই প্রথম কোনো সিরীয় প্রেসিডেন্টের যুক্তরাষ্ট্র সফর। অন্তর্বর্তীকালীন এই নেতা এর আগে মে মাসে ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্য সফরের সময় রিয়াদে প্রথমবারের মতো তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন।
যুক্তরাষ্ট্রের সিরিয়া বিষয়ক বিশেষ দূত টম ব্যারাক এই মাসের শুরুর দিকে বলেন,আশা করা যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক জোটে যোগদানের একটি চুক্তিতে স্বাক্ষর করবেন শারা, যা ইসলামিক স্টেট (আইএস)-এর বিরুদ্ধে লড়ছে।
সিরিয়ায় এক কূটনৈতিক সূত্র এএফপিকে জানায়, যুক্তরাষ্ট্র দামেস্কের কাছে একটি সামরিক ঘাঁটি স্থাপনের পরিকল্পনা করছে, যার উদ্দেশ্য হবে মানবিক সহায়তা সমন্বয় করা এবং সিরিয়া ও ইসরাইলের মধ্যকার পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা।
গত শুক্রবার স্টেট ডিপার্টমেন্টের আল-শারাকে কালো তালিকা থেকে সরানোর সিদ্ধান্তটি ব্যাপকভাবে প্রত্যাশিত ছিল।
স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র টমি পিগট বলেন, ‘শারার সরকার যুক্তরাষ্ট্রের বেশ কিছু দাবির বিষয়ে পদক্ষেপ নিচ্ছে—যেমন নিখোঁজ মার্কিন নাগরিকদের সন্ধান এবং অবশিষ্ট রাসায়নিক অস্ত্র ধ্বংসে সহযোগিতা করা।’
তিনি বলেন, ‘এই পদক্ষেপগুলো নেওয়া হচ্ছে বাশার আল-আসাদের প্রস্থান এবং তার অধীনে ৫০ বছরেরও বেশি সময় ধরে চলা দমননীতির অবসানের পর সিরিয়ান নেতৃত্বের প্রদর্শিত অগ্রগতির স্বীকৃতি হিসেবে।’
পিগট আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের এই কালো তালিকা থেকে সরানোর সিদ্ধান্তটি ‘আঞ্চলিক নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা বৃদ্ধি করবে এবং একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক, সিরিয়া-নেতৃত্বাধীন ও সিরিয়ার মালিকানাধীন রাজনৈতিক প্রক্রিয়াকে উৎসাহিত করবে’।

