img

দক্ষিণ কোরিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট ইয়ুন সুক ইয়লের বিরুদ্ধে শত্রুকে সহায়তার আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দিয়েছে দেশটির প্রসিকিউটর অফিস। এ বছরের জানুয়ারিতে তাকে প্রেসিডেন্ট থাকা অবস্থায় ‘ক্ষমতায় অপব্যবহারের’ কারণ দেখিয়ে গ্রেফতার করে কোরিয়া।

ইয়ুন বর্তমানে বিদ্রোহ ও সামরিক অভ্যুত্থান সংশ্লিষ্ট অপরাধের মামলায় বিচারাধীন। তার বিরুদ্ধে দেশদ্রোহের অভিযোগ ছাড়াও আরও কয়েকটি ঘোরতর অভিযোগ তুলেছে দক্ষিণ কোরিয়া। তিনি উত্তর কোরিয়াকে যুদ্ধের জন্য উষ্কে দিয়ে দেশে সামরিক আইন জারির চেষ্টা করেছিলেন। খবর ওয়াশিংটন পোস্ট।

দেশটির প্রসিকিউটররা অভিযোগে বলেছেন, উত্তর কোরিয়ার ওপর ড্রোন উড়িয়ে সামরিক আইন জারির অজুহাত তৈরি করেছিলেন ইয়ুন। একই সঙ্গে প্রশাসনকে উৎখাতের চক্রান্ত করেছিলেন।

অভিযোগের সূত্রপাত হয় গত বছরের ডিসেম্বরে ইয়ুনের কর্মকাণ্ড নিয়ে বিশেষ তদন্তের পর। রাষ্ট্রপক্ষের প্রসিকিউটর পার্ক জি-ইয়ং জানান, ‘ইয়ুন এবং তার সহযোগীরা এমন একটি পরিস্থিতি তৈরি করার ষড়যন্ত্র করেছিলেন, যাতে জরুরি সামরিক আইন ঘোষণা করা যায়। এর ফলে দক্ষিণ ও উত্তর কোরিয়ার মধ্যে সশস্ত্র সংঘর্ষের আশঙ্কা বেড়েছিল এবং দেশের সামরিক স্বার্থ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।’

তদন্তে প্রমাণ হিসেবে একটি মেমো পাওয়া গেছে। ইয়ুনের সাবেক কাউন্টার-ইন্টেলিজেন্স কমান্ডার গত বছরের অক্টোবরে লিখেছিলেন এটি। সেখানে পিয়ংইয়ং বা ওনসান-এর মতো স্থানে ড্রোন পাঠিয়ে উত্তর কোরিয়ার প্রতিক্রিয়া উসকে দেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছিল।

ইয়ুনের এই পদক্ষেপের ফলে গত ডিসেম্বরে দক্ষিণ কোরিয়ায় বড় ধরনের রাজনৈতিক সঙ্কট দেখা দেয়। তিনি সংসদে সশস্ত্র সেনা মোতায়েন করার চেষ্টা করেছিলেন। তিনি চাচ্ছিলেন, সংসদ সদস্যরা তার সামরিক আইন ঘোষণাকে বাতিল করতে যেন না পারেন। তবে তার এই সামরিক আইন আনার প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়। জানুয়ারিতে তিনি গ্রেফতার হন।

এরপর এপ্রিল মাসে ইয়ুনকে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রেসিডেন্টের পদ থেকে পদচ্যুত করা হয়। জুনে ভোটের মাধ্যমে কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট হিসেবে লি জে মিয়ং নির্বাচিত হন। 

উত্তর কোরিয়া গত বছর দাবি করেছিল, দক্ষিণ কোরিয়ার ড্রোনগুলো পিয়ংইয়ং শহরের ওপর প্রোপাগাণ্ডা পত্র ফেলেছিল, যদিও সিউলের সেনাবাহিনী এই তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেনি। দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা এখনও প্রবল, কারণ ১৯৫০-৫৩ সালের কোরিয়ান যুদ্ধ শান্তিচুক্তি নয়, বরং অস্ত্রবিরতিতে থেমেছিল।

এই বিভাগের আরও খবর