img

ময়মনসিংহের নান্দাইলে চাঁদা না পেয়ে এক ব্যবসায়ীর ২০ লাখ টাকার শিংমাছ নিধনের অভিযোগ উঠেছে প্রতিবেশীদের বিরুদ্ধে। ওই বিষয়ে থানায় অভিযোগ দায়েরের দুই সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও মামলা আমলে নিচ্ছেন না নান্দাইল মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) খন্দকার জালাল উদ্দিন মাহমুদ।

এমন অভিযোগ তুলে ধরেছেন উপজেলার গাংগাইল ইউনিয়নের অরণ্যপাশা গ্রামের মৎস্যচাষি আবুল কালাম।

রোববার (৯ নভেম্বর) এই মৎস্য চাষি সাংবাদিকদের জানান, অভিযোগে চাঁদার কথা কেটে না দিলে মামলা নিবেন না বলে জানিয়েছেন থানার ওসি।

মৎস্যচাষি আরও জানান, ঘটনার দিন ৯৯৯-এ কল দেওয়ার পর পুলিশ ঘটনাস্থলে পরিদর্শনে যায়; কিন্তু থানায় অভিযোগ দেওয়ার পর আর তদন্তে না গিয়ে অজ্ঞাত কারণেই বিভিন্ন টালবাহানা শুরু করে নান্দাইল মডেল থানা পুলিশ। একপর্যায়ে অভিযোগকারীকে থানায় ডেকে নিয়ে প্রথমে অভিযোগ থেকে আসামির নাম কর্তনের কথা বলা হয়, দ্বিতীয়ত অভিযোগে চাঁদার কথা কেটে দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেয়। এমন অবস্থায় মামলাটি এফআইআরভুক্ত না করার জন্য কালক্ষেপণ করেন এবং পরিশেষে ওসি মামলাটি নেবেন না বলে জানিয়েছেন।  

এ বিষয়ে আবুল কালাম জানান, গত ২৪ অক্টোবর রাতে উপজেলার গাঙ্গাইল ইউনিয়নের অরণ্যপাশা গ্রামে তার ২২ শতাংশ পুকুরে চাষকৃত ২০০ মণ শিংমাছ প্রতিপক্ষের বিষ প্রয়োগে প্রায় ২০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়। এর আগের দিন ১০ অক্টোবর একই গ্রামের প্রতিপক্ষ সেলন মিয়া, সোহাগ মিয়া, পাভেল মিয়া, পায়েল মিয়া গং আবুল কালামকে দোকান থেকে বের করে মারধরসহ প্রাণনাশের হুমকি ও তার কাছে এক লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। এর পরদিন বিষ প্রয়োগে আবুল কালামের মাছ নিধনের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত অপরাধীদের বিরুদ্ধে সরেজমিন তদন্তসাপেক্ষে মামলাটি এফআইআরভুক্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন পুলিশ প্রশাসনের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছে ওই মৎস্যচাষির পরিবার। 

এ বিষয়ে নান্দাইল মডেল থানার ওসি খন্দকার জালাল উদ্দিন মাহমুদ বলেন, এখানে অভিযোগে চাঁদাবাজির বিষয়ে সত্যতা পাওয়া যায়নি। তাই অভিযোগটি সংশোধন করে পুনরায় দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে।

এই বিভাগের আরও খবর