img

যশোরে গভীর রাতে ঘটে গেল এক দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনা। একই পরিবারের স্বামী-স্ত্রী ও মেয়েকে জিম্মি করে দুই লাখ টাকা ও ১০ ভরি গহনা লুট করে নেয় ডাকাত দল। মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) দিবাগত রাত আড়াইটায় সদরের ফতেপুর ইউনিয়নের ভায়না দোরাস্তা মোড়ে ঘটে এমন ভয়াবহ ঘটনা। 

৭-৮ জনের একটি ডাকাতদল ওই গ্রামের হাবিবুর রহমানের বাড়িতে হানা দেয়। তারা অস্ত্রের মুখে গৃহবধূ, তাদের কিশোরী মেয়েকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে এবং গৃহকর্তার চোখ ও হাত বেঁধে ফেলে। এরপর তারা আলমারিতে থাকা নগদ দুই লাখ টাকা ও ১০ ভরি সোনার গহনা নিয়ে যায়।

ক্ষতিগ্রস্ত গৃহবধূ হাবিবা রহমান বলেছেন, রাত আনুমানিক আড়াইটার দিকে ঘরের লাইট জ্বলতে দেখে তার ঘুম ভেঙে যায়। তিনি দেখেন, ৩-৪ জন মুখোশ পরা লোক ঘরের ভেতর দাঁড়ানো। ওই ঘরে তিনি ও তার মাদ্রাসা পড়ুয়া মেয়ে ছিলেন। তিনি চিৎকার দিতে গেলে ডাকাতরা বলে- আমরা চোর না, ডাকাত। চিৎকার করলে একেবারে শেষ করে দেবো। তোর মেয়েরও সর্বনাশ করা হবে। এরপর ডাকাতরা তাকে চুপ থাকতে বলে কম্বলের মধ্যে মা ও মেয়েকে মুখ লুকিয়ে রাখার নির্দেশ দেয়। তাদের একজন অস্ত্র হাতে মা ও মেয়েকে পাহারা দিচ্ছিল। পাশের ঘরে ছিলেন স্বামী হাবিবুর রহমান। ডাকাতরা সেই ঘরে গিয়ে তার চোখ ও হাত বেঁধে ফেলে। এরপর ঘরের আলমারি খুলে সেখানে থাকা নগদ দুই লাখ টাকা এবং ১০ ভরি সোনার গহনা নিয়ে চলে যায়।  

তিনি জানান, ভোর সাড়ে চারটার দিকে ডাকাতরা চলে যায়। এরপর চিৎকার শুনে আশেপাশের লোকজন এগিয়ে আসে এবং পুলিশে খবর দেয়।

ঘটনা শুনে প্রথমে স্থানীয় চাঁদপাড়া ক্যাম্পের পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। পরে যশোরের পুলিশ সুপার রওনক জাহান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) আবুল বাশার, কোতোয়ালি থানার ওসি আবুল হাসনাত খান,  ডিবির ওসি মঞ্জুরুল হক ভূঞা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

যশোর কোতোয়ালি থানার ওসি আবুল হাসনাত খান বলেছেন, ডাকাতির ঘটনা শুনে ঘটনাস্থলে যাই। সেখানে গিয়ে জানতে পারি ওই বাড়ির পেছনের দরজার তালা ভেঙে ৭/৮ জনের একটি সশস্ত্র দল ঘরে ঢুকে সবাইকে জিম্মি করে নগদ টাকা ও সোনার গহনা নিয়ে গেছে। পুলিশ আশপাশের বিল্ডিংয়ের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ নেওয়ার চেষ্টা করছে। আসামিদের গ্রেফতারে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে।

এই বিভাগের আরও খবর