উত্তর কোরিয়ার সাবেক রাষ্ট্রপ্রধান কিম ইয়ং মারা গেছেন
উত্তর কোরিয়ার সাবেক রাষ্ট্রপ্রধান এবং শাসক কিম পরিবারের আজীবন অনুগত কিম ইয়ং নাম ৯৭ বছর বয়সে মারা গেছেন। মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম কোরিয়ান সেন্ট্রাল নিউজ এজেন্সি (কেসিএনএ) এই খবর জানায়।
২০ বছরেরও বেশি সময় ধরে নাম রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। তার বয়স হয়েছিল ৯৭ বছর।
১৯৯৮ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত, কিম সুপ্রিম পিপলস অ্যাসেম্বলির প্রেসিডিয়ামের সভাপতির দায়িত্ব পালন করায় তাকে রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে প্রতীকী ভূমিকা প্রদানে নিযুক্ত করা হয়।
রাষ্ট্রীয় আনুষ্ঠানিকতায় তার গম্ভীর কণ্ঠস্বরের ভাষণ প্রায়ই প্রচার মাধ্যমে শোনা যেত। বিদেশি রাষ্ট্রনেতাদের অভ্যর্থনা জানানোর সময় তাকে প্রায়ই কিম জং উন ও প্রয়াত নেতা কিম জং ইলের প্রতিনিধিত্ব করতে দেখা যেত। তবে আসল সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা ছিল নেতা কিম জং ইল ও তার ছেলে কিম জং উনের হাতে।
কিম জং ইল ২০১১ সালে মারা যান। কেসিএনএ জানিয়েছে, কিম জং উন তার মৃত্যুতে গভীর শ্রদ্ধা জানাতে তার শবযাত্রায় যান।
সরকারি কোরিয়ান সেন্ট্রাল নিউজ এজেন্সি (কেসিএনএ) জানায়, কিম ইয়ং নামের একাধিক অর্গান অকেজো হয়ে তিনি মারা যান। একটি ছবিতে দেখা যাচ্ছে, কিম জং উন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে নিয়ে মৃত কিং ইয়ং ন্যামের কাচের কফিনে শায়িত অবস্থায় তার শবযাত্রার সামনে শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন।
১৯৯৪ সালে দেশটির প্রতিষ্ঠাতা কিম ইল সুং মারা গেলে কিম ইয়ং নাম তার প্রতি শোকগাথা পাঠ করেন এবং তিন বছরের শোকাবধি শেষে কিম জং ইলকে আনুষ্ঠানিকভাবে ন্যাশনাল ডিফেন্স কমিশনের চেয়ারম্যান হিসেবে মনোনয়ন দেন।
২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে তিনি কিম জং উনের প্রভাবশালী বোন কিম ইয়ো জং-কে সঙ্গে নিয়ে দক্ষিণ কোরিয়ায় অনুষ্ঠিত পিয়ং চ্যাং শীতকালীন অলিম্পিকের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেন। এটি ছিল দক্ষিণ কোরিয়ায় উত্তর কোরিয়ার পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ পর্যায়ের সফর, যা সেই সময় দুই কোরিয়ার মধ্যে সম্পর্ক উন্নয়নের প্রচেষ্টার অংশ ছিল।

