নিজেদের যত কেলেঙ্কারিতে বিব্রত ব্রিটিশ রাজপরিবার

প্রিন্স অ্যান্ড্রুর যৌন কেলেঙ্কারির কারণে ব্রিটিশ রাজপরিবারের সম্মান এখন ঝুঁকির মুখে। তবে ইতিহাস এটাও প্রমাণ করে যে, রাজপরিবারের সদস্যদের এ ধরনের বিতর্ক নতুন কিছু নয়। নানা সময়ে পরকীয়া, বহুগামিতা ও সমকামিতার মতো বিষয় রাজপরিবারকে বিব্রত করেছে এবং এসব ঘটনা ব্রিটেনের সমাজ, রাজনীতি ও সংস্কৃতিতে প্রভাব ফেলেছে।
সম্প্রতি প্রিন্স অ্যান্ড্রুকে জেফরি এপস্টেইনের সঙ্গে সম্পর্কের কারণে তার রাজকীয় পদ ও দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়াতে হয়েছে। রাজা তৃতীয় চার্লস তাকে রাজপ্রাসাদ থেকে বিতাড়িত করেছেন।
রাজা নিজেও বিতর্কের বাইরে নন। ১৯৮৯ সালে প্রিন্সেস ডায়ানার সঙ্গে বিবাহের সময় প্রিন্স অব ওয়েলস চার্লস পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েছিলেন রানী ক্যামেলিয়ার সঙ্গে। ১৯৯৩ সালে তাদের অন্তরঙ্গ কথোপকথনের রেকর্ড প্রকাশ পেলে তোলপাড় শুরু হয়, যার ফলে চার্লস ও ডায়ানার বিবাহবিচ্ছেদ ঘটে।
প্রেমজনিত কারণে রাজপরিবারের অন্যান্য সদস্যও বিতর্কে জড়িয়েছেন। ১৯৫০-এর দশকে রাজা তৃতীয় চার্লসের মাসি প্রিন্সেস মার্গারেট প্রিন্স টাউনসেন্ডের প্রেমে পড়লেও, রাজপরিবারের অগ্রাহ্যের কারণে ১৯৫৫ সালে সম্পর্ক ছিন্ন করতে হয়।
রাজা অষ্টম এডওয়ার্ডও প্রেমজনিত কারণে বিতর্কে পড়েছিলেন। ১৯৩৬ সালে মাত্র রাজা হওয়ার পর তিনি দুইবারের বিধবা মার্কিন নাগরিক ওয়ালিস সিম্পসনের সঙ্গে প্রেমে জড়ান। এই সম্পর্ক রাজপরিবার ও ক্যাথলিক চার্চের অমঙ্গল ঘটালে ডিসেম্বরে তিনি রাজ্য ত্যাগ করেন।
রাজা দ্বিতীয় এডওয়ার্ডও স্ত্রীকে ধোঁকা দিয়ে নাইট পিয়ার্স গ্যাভেস্টনের সঙ্গে সমকামিতায় লিপ্ত হন। ১৩০৭ সালে সিংহাসনে বসার পর গ্যাভেস্টনকে গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়োগ দেয়ার কারণে রাজদরবারে তোলপাড় সৃষ্টি হয়। একপর্যায়ে বিদ্রোহীরা তাকে হত্যা করলে রাজা মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন।
এছাড়া, ১০ম শতাব্দীর কিশোর রাজা এডউইগও রাজদরবারের অতিথির ভিড়ে মাতাল অবস্থায় মা-মেয়ের সঙ্গে অন্তরঙ্গ মুহূর্ত কাটাতে গিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি করেছিলেন।