জোড়া গোলে মেসির আরেকটি রেকর্ড, মায়ামির দারুণ জয়
ন্যাশভিলের বিপক্ষে হ্যাটট্রিক করে মেজর লিগ সকারের (এমএলএস) নিয়মিত মৌসুম শেষ করেছিলেন লিওনেল মেসি। আজ শনিবার ভোরে সেই ন্যাশভিলের বিপক্ষে জোড়া গোল করে প্লে–অফে ইন্টার মায়ামিকে শুভসূচনা এনে দিয়েছেন আর্জেন্টাইন কিংবদন্তি। মেসির জ্বলে ওঠার দিনে প্রথম প্লে-অফে ইন্টার মায়ামি জিতেছে ৩–১ গোলে। এই জয়ে এমএলএসের প্লে-অফ সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল মায়ামি।
ঘরের মাঠ চেজ স্টেডিয়ামে ন্যাশভিলের বিপক্ষে শুরু থেকেই দাপুটে ফুটবল খেলেছে মায়ামি। আক্রমণের ধারাবাহিকতায় ম্যাচে ১৯ মিনিটে লুইস সুয়ারেজের ক্রসে দারুণ এক হেডে গোল করে দলকে এগিয়ে দেন মেসি। এটি মেসির ক্যারিয়ারে ৮৯০তম গোল আর হেডে ২৯তম। ১–০ গোলে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় মায়ামি।
বিরতির পরও দাপট ছিল মায়ামির। ম্যাচের ৬২ মিনিটে এর ফলও পায় তারা। তাদেও আলেন্দের গোলে ইন্টার মায়ামি লিড নেয় ২–১ গোলে। এই গোলে আক্রমণের উৎসও ছিলেন মেসি। যোগ করা সময়ের ৬ মিনিটে আবারও গোল পান আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড। গোলটি অবশ্য প্রতিপক্ষের উপহারই বলা যায়
ন্যাশভিলের গোলরক্ষক ও ডিফেন্ডারের ভুলে পোস্টের কাছাকাছি জায়গায় বল পান মেসি। এরপর আলতো টোকায় লক্ষ্যভেদ করেন। মেসি এখন এমএলএসে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে এক পঞ্জিকাবর্ষে সর্বোচ্চ গোলদাতা।
সব মিলিয়ে এখন পর্যন্ত মেসির গোলসংখ্যা ৩৯। এর আগে ৩৮ গোল করে যৌথভাবে শীর্ষে ছিলেন ডেনিস বোয়াঙ্গা ও কার্লোস ভেলা। ম্যাচ শেষ হওয়ার আগমুহূর্তে (যোগ করা সময়ের ১২ মিনিট) ন্যাশভিলের হ্যানি মুখতার একটি গোল শোধ করেন।
ম্যাচ শুরুর আগে এমএলএস কমিশনার ডন গারবারের কাছ থেকে গোল্ডেন বুট বুঝে নেন মেসি। এ বছর এমএলএসে ২৮ ম্যাচে ২৯ গোল করে (১৯টি গোলও বানিয়েছেন) সর্বোচ্চ গোলদাতার পুরস্কার পেলেন কিংবদন্তি। মেসিকে নিয়ে গারবার বলেন, ‘মনে হয় না আমরা কখনো ভেবেছি লিও এই ক্লাব, এই শহর ও এই লিগের হয়ে পারফর্ম করবে, যেভাবে এখন সে করছে।
তিন ম্যাচের প্লে–অফে দ্বিতীয় ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে আগামী ২ নভেম্বর বাংলাদেশ সময় ভোর ৫টা ৩০ মিনিটে ন্যাশভিলের মাঠ গিওডিস পার্কে। দ্বিতীয় ম্যাচটি জিতলেই এমএলএস কাপে ইস্টার্ন কনফারেন্সের সেমিফাইনালে উঠবে মায়ামি। তবে প্লে–অফে দ্বিতীয় ম্যাচটি ন্যাশভিলে জিতলে আগামী ৮ নভেম্বর চেজ স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে তৃতীয় প্লে–অফ ম্যাচ।

