নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহাল সত্ত্বেও ইরানের সঙ্গে কূটনীতির সমাপ্তি নয়: ইইউর শীর্ষ কূটনীতিক

ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) শীর্ষ কূটনীতিক রবিবার জানিয়েছেন, ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচির বিরুদ্ধে ব্যাপক নিষেধাজ্ঞার পুনর্বহাল করার অর্থ ‘দেশটির সঙ্গে কূটনীতির শেষ নয়’ এবং ‘ইরানের পারমাণবিক ইস্যুর একটি টেকসই সমাধান কেবল আলোচনার মাধ্যমেই অর্জন করা যেতে পারে।’ ইইউর পররাষ্ট্রনীতি প্রধান কাজা ক্যালাস বলেছেন, ব্লকটি জাতিসংঘের পদক্ষেপ অনুসরণ করে নিষেধাজ্ঞা পুনরায় আরোপ করবে, তবে কূটনীতি এবং আলোচনার মাধ্যমে ইরানের পারমাণবিক সমস্যা সমাধান করার চেষ্টা অব্যাহত থাকবে।
ব্রিটিশ, ফরাসি এবং জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা একটি যৌথ বিবৃতিতে বলেছেন, তারা একটি নতুন কূটনৈতিক সমাধান খুঁজে বের করার চেষ্টা করবেন, যাতে ইরান কখনও পারমাণবিক অস্ত্র অর্জন না করতে পারে।
এদিকে ইরান নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহালের সিদ্ধান্তকে ‘অযৌক্তিক’ এবং ‘আইনগতভাবে ভিত্তিহীন’ বলে নিন্দা জানিয়েছে।
ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘অবৈধ এই সিদ্ধান্ত পুনঃসক্রিয় করা অযৌক্তিক এবং আইনগতভাবে ভিত্তিহীন। সমস্ত দেশকে এই অবৈধ পরিস্থিতি স্বীকার না করতে অনুরোধ জানাচ্ছি।’
এ ছাড়া, ইরান আরো বলেছে, ‘আমরা আমাদের জাতীয় অধিকার এবং স্বার্থ রক্ষা করতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। আমাদের জনগণের অধিকার ক্ষুণ্ন করার কোনো পদক্ষেপের বিরুদ্ধে আমরা উপযুক্ত প্রতিক্রিয়া জানাব।
’ মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও ইরানকে সরাসরি আলোচনার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘ইরানকে সরল বিশ্বাসে আলোচনা গ্রহণ করতে হবে।’ তিনি জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্রগুলোর প্রতি আহ্বান জানান, ‘তুরন্ত নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়ন করতে হবে এবং ইরানের নেতাদের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে হবে, যাতে তারা তাদের জাতির জন্য এবং বিশ্বের নিরাপত্তার জন্য সঠিক পদক্ষেপ নেন।’
ইরানের রাষ্ট্রপতি মাসুদ পেজেশকিয়ান বলেছেন, ‘আমরা এমন কোনো পারমাণবিক আলোচনা গ্রহণ করব না, যা নতুন সমস্যার সৃষ্টি করবে।’ তিনি ইরানের জাতীয় স্বার্থ রক্ষায় দৃঢ় প্রতিজ্ঞা ব্যক্ত করেছেন।
বিশ্বের বিভিন্ন শীর্ষ শক্তির মধ্যে পারমাণবিক আলোচনার অবস্থা এখন এক চ্যালেঞ্জের মুখে, যা আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ওপর গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলতে পারে।
সূত্র : এএফপি