রুনির খোলামেলা স্বীকারোক্তি— ‘কোলিন না থাকলে হয়তো মরে যেতাম’

ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ও ইংল্যান্ডের কিংবদন্তি স্ট্রাইকার ওয়েইন রুনি জানিয়েছেন, মদ্যপানের সমস্যার কারণে তিনি একসময় জীবনের ভয়াবহ সংকটে পড়ে গিয়েছিলেন। সে সময় স্ত্রী কোলিন রুনির সহায়তা ছাড়া তিনি টিকে থাকতে পারতেন না। ৩৯ বছর বয়সী সাবেক এই ফরোয়ার্ডের ভাষায়, ‘কোলিন না থাকলে আমি আজ বেঁচে থাকতাম না।’
ইউনাইটেডের সর্বোচ্চ গোলদাতা রুনি পাঁচবারের প্রিমিয়ার লিগ জয়ী।
তবে তার ক্যারিয়ার সহজ ছিল না। অল্প বয়সেই খ্যাতি পাওয়ায় প্রচণ্ড চাপ আর স্পটলাইটের মধ্যে জীবনযাপন করতে হয়েছে তাকে।
২০০২ সালে মাত্র ১৬ বছর বয়সে এভারটনের হয়ে আর্সেনালের বিপক্ষে দুর্দান্ত এক গোল করে আলোচনায় আসেন রুনি। সে ম্যাচে ধারাভাষ্যকারের বিখ্যাত উক্তি, ‘রিমেম্বার দ্য নেম, ওয়েইন রুনি!’— আজও কিংবদন্তি হয়ে আছে।
পরের বছরই মাত্র ১৭ বছর বয়সে ইংল্যান্ড দলে ডাক পান তিনি। ফুটবল ইতিহাসের অন্যতম সেরা কিশোর প্রতিভা হিসেবে স্বীকৃতি পান দ্রুতই।
সম্প্রতি রিও ফার্দিনান্দের পডকাস্টে দেওয়া সাক্ষাৎকারে রুনি বলেন, ‘কোলিন আমার জন্য বিশাল ব্যাপার। ছোটবেলা থেকে একসঙ্গে বড় হয়েছি, ডেটিং শুরু করেছি, বিয়ে করেছি, সন্তান হয়েছে।
আমি ১৭ বছর বয়স থেকেই একটু আলাদা ছিলাম। ফুটবলকে ভীষণ ভালোবাসতাম, কিন্তু আবার বাইরে ঘুরতেও পছন্দ করতাম। আমি বিশ্বাস করি, কোলিন না থাকলে আমি মরে যেতাম। সে আমাকে ২০ বছরের বেশি সময় ধরে সঠিক পথে রেখেছে।’
রুনি স্বীকার করেন, তার মদ্যপানের অভ্যাস ক্যারিয়ারকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে।
‘আমি জীবন উপভোগ করতে চেয়েছিলাম, বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিতে চাইতাম। কিন্তু সেটা অনেক দূর পর্যন্ত গড়ায়। দুই দিন টানা পান করতাম, তারপর অনুশীলনে যেতাম। চোখ লাল হয়ে যেত, তাই আই ড্রপ দিতাম, চুইংগাম চিবাতাম। সপ্তাহান্তে আবার গোল করতাম, এরপর ফের পান করা শুরু করতাম।’
ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে সেই কঠিন সময়েও কোলিনই তাকে সামলে রেখেছেন বলে জানালেন রুনি। বর্তমানে তিনি বিশ্লেষক হিসেবে বিবিসির ‘ম্যাচ অব দ্য ডে’-তে কাজ করছেন। ম্যানেজার হিসেবে প্লাইমাউথ আর্গাইল ছেড়ে দেওয়ার পর আপাতত বিরতিতে থাকলেও ভবিষ্যতে আবার কোচিংয়ে ফেরার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেননি।