img

যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেসের বাসিন্দা এবং মার্কিন নাগরিক ২৩ বছর বয়সী ক্যারি লোপেজ আলভারাডোকে গত জুন মাসে গ্রেপ্তার করে দেশটির ইমিগ্রেশন এজেন্টরা। আটক করার কয়েকদিন পর, একটি কন্যা সন্তানের জন্ম দেন তিনি।

আরো কয়েকজন মার্কিনির মতোই ট্রাম্প প্রশাসনের অভিবাসী বিতাড়ন আইনের জালে আটকা পড়েছেন লোপেজ আলভারাডো এবং তার ৩ মাস বয়সী শিশুটি। এখন তাদের নাগরিকত্বের প্রমাণ দিয়ে মুক্তি পেতে হবে।

 

সিবিএস নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে আলভারাডো বলেন, ‘তারা আমাকে বলেছে, ঠিক আছে, তোমার বাচ্চা এখানেই জন্মগ্রহণ করবে। কিন্তু তুমি মেক্সিকো থেকে এসেছো, তাই না?’

আলভারাডো এজেন্টদের জানান, তিনি এখানেই জন্মগ্রহণ করেছেন এবং তিনি ইংরেজিতে কথা বলেন।

আলভারাডো আটক থাকাকালীন তার ভয়াবহ অভিজ্ঞতার বর্ণনা দিয়ে বলেন, ‘তাকে হাতকড়া পরানো ও পেটে শিকল দিয়ে বাঁধা অবস্থায় আট ঘণ্টারও বেশি সময় আটকে রাখা হয়।’

আলভারাডো জানান, মুক্তি পাওয়ার পর তিনি কাটা এবং আঘাতের চিহ্ন নিয়ে সরাসরি হাসপাতালে যান।

 

এদিকে লোপেজ আলভারাডোর প্রেমিককেও আটক করা হয়। সে তার নবজাতককে দেখার আগেই গুয়াতেমালায় নির্বাসিত হয়েছেন।

লোপেজ আলভারাডোসহ আরো সাতজন মার্কিন এবং একজন গ্রিন কার্ডধারী ট্রাম্প প্রশাসনের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন। তাদের দাবি, তাদের গায়ের রং দেখে চিহ্নিত করে ভুলভাবে আটক করা হয়েছে।

এমনকি ফেডারেল অফিসাররা মারধর করেছেন বলেও অভিযোগ তুলেছেন কয়েকজন বন্দি। 

 

গ্রিন কার্ডধারীদের মধ্যে একজন জুয়ান রিভাস। ২০ বছরেরও বেশি সময় ধরে যুক্তরাষ্ট্রে কাজ করছেন তিনি। রিভাসের অভিযোগ, তার কাছে আইনি কাগজপত্র থাকা সত্ত্বেও, ৪ জুলাই লস অ্যাঞ্জেলেসের একটি হোম ডিপোর পার্কিং লট থেকে তাদের আটক করা হয়।

রিভাস বলেন, ‘আমি তাদের কাগজ দেখানোর জন্য প্রস্তুত ছিলাম।

কিন্তু তারা আমাকে মারধর শুরু করে এবং মেঝেতে ফেলে দেয়।’

 

এ অভিযোগের বিষয়ে হোমল্যান্ড সিকিউরিটি ডিপার্টমেন্টের সঙ্গে সিবিএস নিউজ যোগাযোগ করলেও কোনো সাড়া মেলেনি।

মার্কিন নাগরিক ব্রায়ানের গাভিডিয়া লস অ্যাঞ্জেলেসে মালিকানাধীন গাড়ির ডিলারশিপ রয়েছে। তিনি সম্প্রতি ফেডারেল এজেন্টদের মুখোমুখি হন।

তিনি বলেন, ‘আমাকে গ্রেপ্তারের যথাযথ প্রক্রিয়া কোথায়? আমাকে আমার পরিচয়পত্র দেখাতে দিন।’

গাভিদিয়া সিবিএস লস অ্যাঞ্জেলেসকে অভিযোগ জানান, এজেন্টরা তার ফোন এবং পরিচয়পত্র দুটোই নিয়ে গেছে।

তিনি জানান, তার বন্ধু ভিডিও করতে শুরু করলে নাগরিকত্ব যাচাই করার পর এজেন্টরা গাভিদিয়াকে ছেড়ে দেয়।

গাভিদিয়া বলেছেন, তিনি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে ভোট দেওয়ার জন্য অনুতপ্ত।

ক্যালিফোর্নিয়া এবং দেশের অন্যান্য অংশে অভিবাসন অভিযান বৃদ্ধি পাওয়ায়, অভিবাসন আইনজীবী এবং অ্যাডভোকেটরা সতর্ক করে দিয়েছেন যে সুপ্রিম কোর্টের সাম্প্রতিক একটি সিদ্ধান্ত নাগরিকদের জিজ্ঞাসাবাদ বা আটকের ঝুঁকিতে ফেলতে পারে। 

এই বিভাগের আরও খবর