img

কিছুদিন আগে অবসর ভেঙে ওয়ানডে ক্রিকেটে ফিরেছেন ব্রেন্ডন টেইলর। ৩৯ বছর বয়সী জিম্বাবুইয়ান উইকেটরক্ষক-ব্যাটার অবশ্য শুধু ওয়ানডে নয়, অন্য দুই সংস্করণেও ফিরেছেন। ৪ বছর পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরা টেইলরের মতো এবার অবসর ভেঙে ওয়ানডেতে ফিরেছেন কুইন্টন ডি কক। 

ডি কককে রেখেই আজ পাকিস্তানের বিপক্ষে দল ঘোষণা করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা।

 

শুধু ওয়ানডেতে নয়, টি-টোয়েন্টিতেও ফিরেছেন ৩২ বছর বয়সী উইকেটরক্ষক-ব্যাটার। ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপে এই সংস্করণকে বললেও কখনো টি-টোয়েন্টিকে বিদায় বলেননি তিনি। তবে সংক্ষিপ্ত সংস্করণে সর্বশেষ ম্যাচ খেলেছেন ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে। বার্বাডোসের সেই ফাইনালের পর আবারও টি-টোয়েন্টিতে দেখা যাবে তাকে।

 

পাকিস্তানের সফরের আগে নামিবিয়ার বিপক্ষে একটি টি-টোয়েন্টি খেলবে দক্ষিণ আফ্রিকা। সেই স্কোয়াডেও আছেন ডি কক। ওয়ানডে বিশ্বকাপে হঠাৎ করেই অবসরের ঘোষণা দেন ডি কক। যেমনটা ২০২১ সালে আকস্মিকভাবে টেস্ট ক্রিকেটকে বিদায় জানিয়েছিলেন তিনি।

অথচ, ভারতের হওয়া ওয়ানডে বিশ্বকাপে দুর্দান্ত ছন্দে ছিলেন প্রোটিয়া ব্যাটার।

 

৪ সেঞ্চুরিতে টুর্নামেন্টের তৃতীয় সর্বোচ্চ রানসংগ্রহকারী ব্যাটার ছিলেন ডি কক। তালিকার দুইয়ে থাকা রোহিত শর্মার চেয়ে মাত্র ৩ রানে পিছিয়ে ছিলেন। ভারতীয় অধিনায়কের ৫৯৭ রানের বিপরীতে ডি ককের রান ছিল ৫৯৪। তবে রোহিতের (১১) চেয়ে এক ম্যাচ কম খেলেছিলেন ডি কক (১০)।

১১ ম্যাচে সর্বোচ্চ ৭৬৫ রান নিয়ে শীর্ষে ছিলেন বিরাট কোহলি। তবে অস্ট্রেলিয়ার কাছে ভারত ফাইনাল হারায় দুই কিংবদন্তির রান কাজে আসেনি। 

 

রানে পিছিয়ে থাকলেও সেই বিশ্বকাপে সেঞ্চুরিতে শীর্ষে ছিলেন ডি কক। কিন্তু ৪ সেঞ্চুরি করার পরেও হঠাৎই ওয়ানডেকে বিদায় জানান তিনি। তার এই সিদ্ধান্তে সবাই অবাক হন। কেননা বয়সটা তখন ৩০ চলছিল। ফিরে আসায় আবারও সেই পুরোনো ডি কককে দেখার সুযোগ পাচ্ছেন ভক্ত-সমর্থকরা। নিশ্চয় এই সংবাদ তাদের খুশির।

যেমনটা ডি কককে পেয়ে খুশি হয়েছেন কোচ শুকরি কনরাড। দক্ষিণ আফ্রিকার কোচ বলেছেন, ‘সাদা বলের ক্রিকেটে ডি ককের ফেরাটা আমাদের জন্য দারুণ প্রেরণার। গত মাসে যখন তার সঙ্গে ক্যারিয়ারের ভবিষ্যৎ নিয়ে কথা বলছিলাম একটা বিষয় পরিষ্কার ছিল দেশের প্রতিনিধিত্ব করার মতো যথেষ্ট ইচ্ছা রয়েছে। প্রত্যেকেই জানে সে দলের জন্য কি বয়ে আনতে পারে। সে ফেরায় দলই উপকৃত হবে।’

 

 

২০২৭ সালে আরেকটি ওয়ানডে বিশ্বকাপ হবে। সেই বিশ্বকাপটি আবার দক্ষিণ আফ্রিকা, নামিবিয়া ও জিম্বাবুয়েতে হবে। ঘরের মাঠের বিশ্বকাপের চিন্তা করেই তাকে ফেরানো কি না জানতে চাওয়া হয়েছিল কনরাডের কাছে। তিনি কৌশলী উত্তর দিয়েছেন। কোচ বলেছেন, ‘এই মুহূর্তে দেখছি না এমনটা ঘটবে। তবে আপনি জানতে পারেন না। কারণ জীবনে অনেক অদ্ভুত ঘটনা ঘটে। একটা সম্ভাবনা থাকতে পারে কিন্তু আমি এতদূর এখনি ভাবছি না।’

নামিবিয়ার বিপক্ষে আগামী ১১ অক্টোবর যখন একমাত্র টি-টোয়েন্টি খেলবে দক্ষিণ আফ্রিকা। ঠিক তার পরের দিনই পাকিস্তানের বিপক্ষে দুই টেস্টের সিরিজ শুরু করবেন এইডেন মার্করামরা। চোটের কারণেই এই সিরিজে টেম্বা বাভুমা থাকছেন না। সেই সফরেই সমান তিনটি করে টি-টোয়েন্টি ও ওয়ানডে খেলবে প্রোটিয়ারা। টি-টোয়েন্টি সিরিজ শুরু হবে ২৮ অক্টোবর। বাকি দুটি ৩১ অক্টোবর ও ১ নভেম্বর। তিন ওয়ানডে হবে ৪, ৬ ও ৮ নভেম্বর।

নামিবিয়ার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি দল-

ডোনোভান ফেরেইরা (অধিনায়ক), নান্দ্রে বার্গার, জেরাল্ড কোইটজি, কুইন্টন ডি কক, বিজর্ন ফরচুইন, রিজা হেন্ডরিক্স, রুবিন হারম্যান, কুয়েনা মাফাকা, রিভালদো মুনসামি, নকাবা পিটার, লুয়ান-ড্রে প্রিটোরিয়াস, আন্দিলে সিমেলানে, জেসন স্মিথ, লিজাদ উইলিয়ামস।

পাকিস্তান সফরে দক্ষিণ আফ্রিকার দল-

টেস্ট দল : এইডেন মার্করাম (অধিনায়ক), ডেভিড বেডিংহ্যাম, করবিন বশ, ডেওয়াল্ড ব্রেভিস, টনি ডি জর্জি, জুবায়ের হামজা, সাইমন হারমার, মার্কো ইয়ানসেন, কেশব মহারাজ (শুধু দ্বিতীয় টেস্টে), উইয়ান মুল্ডার, সেনুরান মুথুসামি, কাগিসো রাবাদা, রায়ান রিকেলটন, ত্রিস্তান স্তাবস, প্রেনলান সুব্রায়েন, কাইল ভেরেইনা।

টি-টোয়েন্টি দল : ডেভিড মিলার (অধিনায়ক), করবিন বশ, ডেওয়াল্ড ব্রেভিস, নান্দ্রে বার্গার, জেরাল্ড কোয়েৎজি, কুইন্টন ডি কক, ডনোভান ফেরেইরা, রিজা হেন্ড্ররিক্স, জর্জ লিন্ডে, কিয়েনা মাফাকা, লুঙ্গি এনগিডি, নকাবা পিটার, লুহান-ড্রে প্রিটোরিয়াস, আন্দিলে সিমেলানে, লিজার্ড উইলিয়ামস।

ওয়ানডে দল : ম্যাথু ব্রিটস্কে (অধিনায়ক), করবিন বশ, ডেওয়াল্ড ব্রেভিস, নান্দ্রে বার্গার, জেরাল্ড কোয়েৎজি, কুইন্টন ডি কক, টনি ডি জর্জি, ডনোভান ফেরেইরা, বিজর্ন ফরচুইন, জর্জ লিন্ডে, কিয়েনা মাফাকা, লুঙ্গি এনগিডি, নকাবা পিটার, লুহান-ড্রে প্রিটোরিয়াস, সিনেথেমবা কেশিলে।

এই বিভাগের আরও খবর