img

চ্যাম্পিয়নস লিগে ২০২৪/২৫ মৌসুমে খেলার যোগ্যতা অর্জন করতে পারেনি। নেই এবারের কোন ইউরোপীয় প্রতিযোগিতায়ও। প্রিমিয়ার লিগ শেষ করেছে ১৫তম স্থানে, যা ৫১ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন অবস্থান। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের জন্য মাঠের মৌসুমটা তাই মোটেও সুখকর ছিল না।

 

রুবেন আমোরিমের দল ইউরোপা লিগের ফাইনাল পর্যন্ত উঠেছিল বটে, তবে বিলবাওয়ে শিরোপা হাতছাড়া হয় টটেনহামের কাছে।

তবে সব বাধা পেরিয়ে আয়ের রেকর্ড গড়েছে ইউনাইটেড। গত ৩০ জুন শেষ হওয়া অর্থবছরে আয় ০.৭ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৬৬.৫ মিলিয়ন পাউন্ডে। পরিচালনাগত ক্ষতিও কমেছে উল্লেখযোগ্যভাবে—গতবারের ৬৯.৩ মিলিয়ন থেকে নেমে এসেছে ১৮.৪ মিলিয়নে।

রেড ডেভিলদের সার্বিক ক্ষতিও এক বছরে ১১৩.২ মিলিয়ন থেকে কমে দাঁড়িয়েছে ৩৩ মিলিয়ন পাউন্ডে। 

 

সহ-মালিক স্যার জিম র‍্যাটক্লিফের কঠোর ব্যয়সংকোচননীতি এই ঘুরে দাঁড়ানোর মূল কারণ বলে জানিয়েছে ইউনাইটেড কর্তৃপক্ষ।

ক্লাবের প্রধান নির্বাহী ওমর বেরাদা এক বিবৃতিতে বলেন, ‘আমাদের ব্যয়সংকোচনের সুফল এখন আসতে শুরু করেছে। আমরা দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার পথে হাঁটছি।

মাঠে নতুন খেলোয়াড় যোগ হয়েছে, বাইরে আমরা নেতৃত্ব ও কাঠামোগত পরিবর্তন শেষে আরো কার্যকর অবস্থায় ফিরেছি।’

 

আসলে নতুন স্পন্সরশিপ চুক্তি (স্ন্যাপড্রাগনের সঙ্গে পাঁচ বছরের চুক্তি) শুরু হওয়ার ফলে রেকর্ড ৩৩৩.৩ মিলিয়ন পাউন্ডে পৌঁছেছে বাণিজ্যিক আয়। রেকর্ড ম্যাচডে আয় ১৬০.৩ মিলিয়ন পাউন্ড এসেছে গেল মৌসুমেই। তবে আগামী মৌসুমে ইউরোপীয় প্রতিযোগিতা না থাকায় রাজস্ব কিছুটা কমে ৬৪০ থেকে ৬৬০ মিলিয়ন পাউন্ডের মধ্যে থাকবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

অডিট ফার্ম ডেলয়েটের জানুয়ারির রিপোর্টে রিয়াল মাদ্রিদ, ম্যানচেস্টার সিটি ও পিএসজির পরেই ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে বিশ্বের চতুর্থ সর্বোচ্চ আয় করা ক্লাব হিসেবে স্থান দেওয়া হয়েছে।

 

তবে এই মৌসুমেও মাঠের ফলাফল ভয়াবহ। নতুন মৌসুমে প্রথম চার ম্যাচে মাত্র চার পয়েন্ট কুড়িয়েছে ইউনাইটেড। এটি ১৯৯২/৯৩-এর পর ঐতিহ্যবাহী ইংলিশ ক্লাবটির সবচেয়ে বাজে সূচনা। লিগ কাপ থেকেও ইতিমধ্যে চতুর্থ স্তরের ক্লাব গ্রিমসবির কাছে বিদায় নিয়েছে তারা। 

এই বিভাগের আরও খবর