img

কাজাখস্তানে জোরপূর্বক বিয়ে ও কনে অপহরণ নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। মধ্য এশিয়ার এই দেশে মঙ্গলবার থেকে নতুন আইন কার্যকর হয়েছে। দেশটিতে নারীর অধিকার নিয়ে বাড়তি সচেতনতা তৈরি হলেও এ ধরনের প্রথা এখনো টিকে আছে।

কাজাখ পুলিশ এদিন এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, কারো ওপর জোর করে বিয়ে চাপিয়ে দেওয়া এখন থেকে সর্বোচ্চ ১০ বছরের কারাদণ্ডযোগ্য অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে।

 

 

পুলিশ আরো বলেছে, এসব পরিবর্তনের উদ্দেশ্য হলো জোরপূর্বক বিয়ে ঠেকানো এবং বিশেষ করে নারী ও কিশোরীদের মতো ঝুঁকিপূর্ণ শ্রেণিকে সুরক্ষা দেওয়া।

কনে অপহরণকেও এই আইনে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এর আগে কেউ অপহৃত ব্যক্তিকে স্বেচ্ছায় ছেড়ে দিলে ফৌজদারি দায় থেকে মুক্তি পাওয়া যেত। এখন সেই সুযোগ বাতিল করা হয়েছে।

 

 

কাজাখস্তানজুড়ে জোরপূর্বক বিয়ের সঠিক পরিসংখ্যান নেই। কারণ এতদিন ফৌজদারি বিধিতে এ বিষয়ে আলাদা কোনো ধারা ছিল না। তবে এ বছরের শুরুর দিকে এক আইন প্রণেতা জানান, গত তিন বছরে পুলিশ এ ধরনের ২১৪টি অভিযোগ পেয়েছে।

এ প্রথা প্রতিবেশী কিরগিজস্থানেও বিদ্যমান, যেখানে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর উদাসীনতা ও অভিযোগকারীদের প্রতি সামাজিক কলঙ্কের আশঙ্কার কারণে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই এসব অবরাধ শাস্তিহীন থেকে যায়।

 

 

২০২৩ সালে সাবেক মন্ত্রীর হাতে এক নারীর হত্যাকাণ্ডের পর কাজাখস্তানে নারীর অধিকার নিয়ে গণমাধ্যমে ব্যাপক আলোচনার সূত্রপাত হয়। ঘটনাটি কাজাখ সমাজকে নাড়িয়ে দিয়েছিল। প্রেসিডেন্ট কাসিম-জোমার্ট টোকায়েভকেও প্রকাশ্যে প্রতিক্রিয়া জানাতে বাধ্য হয়েছিলে। টোকায়েভ গত বছর বলেন, কিছু মানুষ কথিত প্রথার আড়ালে কনে অপহরণের মতো প্রথা চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। এই স্পষ্ট অন্ধকারাচ্ছন্নতা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।

এই বিভাগের আরও খবর