img

নিজ দেশে রাজনৈতিক চাপ ও সমালোচনার মুখে শেষ পর্যন্ত সার্বিয়া ছাড়লেন টেনিস কিংবদন্তি নোভাক জোকোভিচ। পরিবারকে নিয়ে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেছেন প্রতিবেশী দেশ গ্রিসে।

শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের প্রতি প্রকাশ্যে সমর্থন জানানোর পর থেকেই জোকোভিচকে কোণঠাসা করতে থাকে সার্বিয়ার সরকারঘেঁষা সংবাদমাধ্যম। তাকে দেওয়া হয় ‘দেশবিরোধী’ ও ‘ভুয়া দেশপ্রেমিক’ তকমা।

 

অথচ প্রেসিডেন্ট আলেক্সান্দার ভুচিচ প্রকাশ্যে বলেন, জোকোভিচকে নিয়ে খারাপ কিছু তিনি কখনো বলবেন না।

 

ব্রিটিশ দৈনিক মেইল অনলাইন জানিয়েছে, রেকর্ড ২৪টি গ্র্যান্ড স্লামজয়ী এই তারকা দুই সন্তানকে ভর্তি করিয়েছেন এথেন্সের নামকরা সেন্ট লরেন্স কলেজে। ১১ বছর বয়সী ছেলে স্তেফান ও ৮ বছর বয়সী মেয়ে তারা ইতিমধ্যেই নতুন স্কুলে ক্লাস শুরু করেছে।

এথেন্সের দক্ষিণাঞ্চলীয় গ্লাইফাদায় নতুন স্থায়ী ঠিকানাও ঠিক করে নিয়েছেন জোকোভিচ।

 

স্থানীয় এক ক্লাবে ছেলের সঙ্গে তাকে টেনিস খেলতে দেখা গেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বাবা–ছেলের খেলার ছবি ছড়িয়ে পড়েছে। সৈকতে পরিবার নিয়ে সময় কাটানোর ছবিও প্রকাশ করেছে গ্রিক সংবাদমাধ্যম।

 

গত বছরের নভেম্বরে সার্বিয়ায় রেলস্টেশনের ছাদ ধসে ১৬ জন নিহত হওয়ার পর শুরু হয় শিক্ষার্থীদের আন্দোলন।

 

নতুন নির্বাচনের দাবিতে চলা সেই আন্দোলনের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন জোকোভিচ। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লিখেছিলেন, ‘আমি তারুণ্যের শক্তি ও তাদের ভালো ভবিষ্যতের আশায় বিশ্বাস করি। তাদের কথা শোনা জরুরি।’

 

পরে অস্ট্রেলিয়ান ওপেন জয়ের পর শিরোপা উৎসর্গ করেন আন্দোলনে আহত শিক্ষার্থীদের। এমনকি বেলগ্রেডে একটি বাস্কেটবল ম্যাচে গিয়েছিলেন ‘শিক্ষার্থীরা চ্যাম্পিয়ন’ লেখা জাম্পার পরে।

 

আর সেখান থেকেই শুরু হয় বিতর্ক।

জানা গেছে, গ্রিসে গোল্ডেন ভিসার জন্য আবেদন করতে পারেন জোকোভিচ। বিনিয়োগের বিপরীতে এই ভিসায় স্থায়ী আবাসন মেলে। এ জন্য ইতিমধ্যেই দুবার গ্রিসের প্রধানমন্ত্রী কিরিয়াকস মিতসোতাকিসের সঙ্গে বৈঠক করেছেন তিনি। 

এই বিভাগের আরও খবর


সর্বশেষ