নেপালে বিক্ষোভে সহিংসতা পরিকল্পিত রাষ্ট্রবিরোধী অপরাধ : কার্কি

নেপালের অন্তর্বর্তীকালীন প্রধানমন্ত্রী সুশীলা কার্কি রবিবার বলেছেন, গত সপ্তাহে জেন-জি আন্দোলনের সময় সংঘটিত অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর ছিল দেশের বিরুদ্ধে সংঘটিত অপরাধ।
এর আগে শুক্রবার অন্তর্বর্তীকালীন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার পর সেদিনই দায়িত্ব গ্রহণ করা কার্কি বিক্ষোভে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য সহায়তার ঘোষণা দেন এবং সরকারের রূপরেখার অংশ হিসেবে নির্বাচন আয়োজনের প্রতিশ্রুতি দেন।
দায়িত্ব নেওয়ার পর সিংহ দরবারে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে ভাষণে কার্কি বলেন, এসব অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের তদন্ত হওয়া উচিত এবং সত্য উদঘাটন করে দায়ীদের বিচারের মুখোমুখি করতে হবে। একই সঙ্গে তিনি সঠিক পথে দেশকে এগিয়ে নিতে সবার সম্মিলিত প্রতিশ্রুতির প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন।
কার্কি বলেন, ‘মাত্র ২৭ ঘণ্টার বিক্ষোভে আমি আগে কখনো এমন পরিবর্তন দেখিনি। এই তরুণ প্রজন্মের দাবিগুলো পূরণে আমাদের দৃঢ় সংকল্প নিয়ে এগোতে হবে। আমি ইচ্ছা করে এখানে আসিনি; আপনাদের আহ্বানেই এই দায়িত্ব নিয়েছি। প্রতিবাদের নামে যা ঘটেছে, তা পরিকল্পিতভাবে ঘটানো হয়েছে বলেই মনে হচ্ছে, যা এক ধরনের ষড়যন্ত্রের প্রশ্ন তোলে।’
তিনি আরো বলেন, সিংহ দরবার, সংসদ ভবন, সুপ্রিম কোর্ট, ব্যাবসায়িক কমপ্লেক্স ও ব্যক্তিগত সম্পত্তিতে ভাঙচুরের তদন্ত করবে সরকার।
এ ছাড়া দেশকে অর্থনৈতিকভাবে ঘুরে দাঁড় করাতে ইতিবাচক মানসিকতা নিয়ে সবার এগিয়ে আসার প্রয়োজনীয়তার ওপরও গুরুত্বারোপ করেন কার্কি।
এদিকে অর্থনীতিবিদরা অনুমান করছেন, সরকারি ও বেসরকারি খাতের অবকাঠামো এবং সরকারি নথিপত্রের ক্ষয়ক্ষতি মিলিয়ে আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ প্রায় তিন ট্রিলিয়ন নেপালি রুপি, যা নেপালের দেড় বছরের বাজেটের সমান কিংবা দেশটির মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রায় অর্ধেক। অর্থনীতিবিদ চন্দ্র মণি আধিকারী বলেন, ‘আমাদের প্রাথমিক হিসাব অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি ১ শতাংশের নিচে নেমে আসবে।’
সূত্র : দ্য কাঠমাণ্ডু পোস্ট