img

মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানোর নামে এক হাজার ১৫৯ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ১৩টি ওভারসিজ কম্পানির ৩১ জনের বিরুদ্ধে মামলা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

রবিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) দুদকের সেগুনবাগিচা কার্যালয়ে সাংবাদিকদের কাছে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন কমিশনের মহাপরিচালক আক্তার হোসেন।

দুদক জানিয়েছে, এর আগেও একই ধরনের অভিযোগে ১২টি ওভারসিজ কম্পানির চেয়ারম্যান, ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও পরিচালকসহ ৩৩ জনের বিরুদ্ধে ১১২৮ কোটি টাকা আত্মসাতের একটি মামলা দায়ের করা হয়েছিল। মামলাটি বর্তমানে তদন্তাধীন রয়েছে।

 

নতুন ১৩টি কম্পানি যুক্ত হওয়ায় সব মিলিয়ে মোট ২৫টি কম্পানির ৬৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা পরিচালনা করা হচ্ছে এবং সম্মিলিতভাবে আত্মসাৎ করা অর্থের পরিমাণ দাঁড়াচ্ছে প্রায় ২২৮৮ কোটি টাকা।

২০২২ সালের আগস্টে শ্রমবাজার পুনরায় খোলার পর থেকে মালয়েশিয়া বাংলাদেশি শ্রমিকদের জন্য ৫ লাখ ৩২ হাজারের বেশি কোটা বরাদ্দ রেখেছিল। এর মধ্যে ৪ লাখ ৭৬ হাজার শ্রমিক তাদের গন্তব্যে পৌঁছাতে পেরেছেন।

তবে রিক্রুটিং এজেন্সিগুলো নির্ধারিত সময়ের আগে টিকিট সরবরাহ করতে না পারায় প্রায় ১৭ হাজার ৭৭৭ জন কর্মী বিমানে উঠতে পারেননি।

 

এ ঘটনায় প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কমিটি মালয়েশিয়ায় ১৭ হাজার কর্মীর কর্মস্থলে যোগ দিতে ব্যর্থ হওয়ার জন্য সিন্ডিকেট নামে পরিচিত ১০০টি বেসরকারি রিক্রুটিং এজেন্সিকে দায়ী করেছে।

মালয়েশিয়া কর্তৃপক্ষ এই ১০০টি বেসরকারি রিক্রুটিং এজেন্সিকে বাংলাদেশ থেকে কর্মী পাঠানোর অনুমতি দিয়েছিল। তবে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অব্যবস্থাপনা ও দুর্নীতির কারণে ২০২৪ সালের ৩১ মে মালয়েশিয়ার বেঁধে দেওয়া সময়সীমার আগে প্রায় ১৭ হাজার ৭৭৭ জন কর্মী পাঠাতে ব্যর্থ হয় সংস্থাগুলো।

এই বিভাগের আরও খবর