মাধ্যমিকে শিক্ষক নিয়োগের এন্ট্রি পদ ৯ম গ্রেড করার দাবি

সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগের এন্ট্রি পদ ৯ম গ্রেড ও পদসোপানের দাবি জানিয়েছেন শিক্ষকরা। আগামী ২৪ সেপ্টেম্বর থেকে পরবর্তী ২১ কর্মদিবসের মধ্যে দাবিগুলো নিয়ে সরকারের ইতিবাচক সাড়া না মিললে মহাসমাবেশ আয়োজনের হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন তারা।
শুক্রবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি জানান সরকারি মাধ্যমিকের শিক্ষকরা। ‘সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের এন্ট্রিপদ নবম গ্রেড ধরে চার স্তরীয় একাডেমিক পদসোপান বাস্তবায়ন পরিষদ’ এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে।
এতে সভাপতিত্ব করেন কে এম আজাদ। প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা কলেজিয়েট স্কুলের সহকারী শিক্ষক আব্দুল মুবিন।
সংবাদ সম্মেলনের লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, ১৯৯০ সালের আগে সরকারি মাধ্যমিক মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ও পিটিআই ইন্সট্রাকটর একই সার্কুলারে নিয়োগ ও পারস্পরিক বদলি হতে পারতেন। ১৯৯০ সালে টিইও ও ১৯৯৬ সালে ইন্সট্রাকটরগণ প্রথম শ্রেণিতে উন্নীত হলেও সরকারি মাধ্যমিকের সহকারী শিক্ষকগণ অদ্যাবধি ২য় শ্রেণিতে পড়ে আছেন।
এই বৈষম্যের অন্তর্নিহিত কারণ হলো কলেজ শাখার প্রবেশ পদ যেখানে নবম গ্রেড (ক্যাডার) সেখানে বিদ্যালয় ও পরিদর্শন শাখার প্রবেশ পদ একটি অতিরিক্ত যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও দশম গ্রেডের নন-ক্যাডার পদ। এই অবস্থায় বিদ্যালয় ও পরিদর্শন শাখার শিক্ষকতা পেশার এন্ট্রিপদ সহকারী শিক্ষক পদটিকে নবম গ্রেড (ক্যাডার) ধরে একটি চার স্তরীয় একাডেমিক পদসোপান প্রস্তুত করা সময়ের প্রয়োজনে অনিবার্য হয়ে পড়েছে।
সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের এন্ট্রিপদ নবম গ্রেড ধরে চার স্তরীয় একাডেমিক পদসোপান বাস্তবায়ন পরিষদের সভাপতি আবুল কালাম আজাদ বলেন, শিক্ষা ব্যবস্থা উন্নয়নে শিক্ষকরা হচ্ছে হৃদপিণ্ড। কিন্তু তাদের কম বেতন দেওয়া হলে এবং সামাজিক মর্যাদা প্রদান না করা হলে শিক্ষার উন্নয়ন সম্ভব নয়।
যে কারণে এখন শিক্ষকতা পেশা তরুণদের আকর্ষণ করছে না।