চীন থেকে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে জার্মান এমপির অফিসে তল্লাশি

জার্মান তদন্তকারীরা বৃহস্পতিবার চীন থেকে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে তদন্তের অংশ হিসেবে কট্টর ডানপন্থী সংসদ সদস্য ম্যাক্সিমিলিয়ান ক্রাহর অফিস তল্লাশি করেছে। এর আগে দেশটির সংসদ তার সাংসদীয় দায়মুক্তি প্রত্যাহার করে নেয়।
অভিবাসনবিরোধী অল্টারনেটিভ ফর জার্মানি (এএফডি) দলের ৪৮ বছর বয়সী ক্রাহ মানি লন্ডারিং ও ঘুষের অভিযোগকে ‘হাস্যকর, মনগড়া ও সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ বলে উড়িয়ে দিয়েছেন।
এক্সে দেওয়া এক বার্তায় তিনি তার অফিস তল্লাশিকে ‘ভয় দেখানোর প্রচেষ্টা’ বলে উল্লেখ করেন।
ইউরোপীয় সংসদের সাবেক সদস্য ক্রাহ গত ফেব্রুয়ারির সাধারণ নির্বাচনের পর থেকে জার্মানির নিম্নকক্ষ বুন্ডেসটাগের আইনপ্রণেতা।
২০২৪ সালের এপ্রিলে ব্রাসেলসে ক্রাহর ইউরোপীয় সংসদের এক সাবেক সহকারীকে চীনের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির সন্দেহে গ্রেপ্তার করা হয়। অভিযোগ রয়েছে, জার্মান নাগরিক জিয়ান গুয়ো ২০০২ সাল থেকে চীনা গোয়েন্দা সংস্থার হয়ে কাজ করছিলেন, যার মধ্যে ক্রাহর ব্রাসেলস অফিসেও কর্মরত থাকা সময় অন্তর্ভুক্ত।
গত সপ্তাহে আদালতে সাক্ষ্য দিতে গিয়ে ক্রাহ তার সাবেক সহকারীর বিরুদ্ধে আনা গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগের বিষয়ে কোনো জ্ঞান থাকার কথা অস্বীকার করেন।
তবে এ বছরের শুরুর দিকে ড্রেসডেন পাবলিক প্রসিকিউটর অফিস ক্রাহর বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে ও তার দায়মুক্তি প্রত্যাহারের অনুরোধ জানায়।
এক বিবৃতিতে বৃহস্পতিবার তারা জানায়, ‘ইউরোপীয় সংসদের প্রতিনিধি হিসেবে ঘুষ গ্রহণ এবং চীন থেকে পাওয়া অর্থের সঙ্গে মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগে’ ক্রাহর বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে।
তদন্ত নথির উদ্ধৃতি দিয়ে জার্মান সাপ্তাহিক ডের স্পিগেল জানিয়েছে, ২০১৯ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত ক্রাহ জিয়ান গুয়োর ঘনিষ্ঠ কম্পানি থেকে ৫০ হাজার ইউরোর বেশি পেয়েছিলেন।
জার্মান সংসদ বৃহস্পতিবার ক্রাহর দায়মুক্তি প্রত্যাহার করে এবং এক বিবৃতিতে জানায়, আদালতের অনুসন্ধান ও জব্দের আদেশ কার্যকর করার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
ডের স্পিগেল জানিয়েছে, এর পরে পুলিশ বার্লিন, ড্রেসডেন ও ব্রাসেলসে তার অফিস তল্লাশি চালায়।
এএফডি দলের নেতা অ্যালিস ওয়েইডেল ও টিনো ক্রুপাল্লা বলেন, ‘তার দায়মুক্তি প্রত্যাহার এবং বিশেষ করে ক্রাহর অফিস ও ব্যক্তিগত জায়গায় তল্লাশি গুরুতর বিষয়। সংসদীয় দল হিসেবে আমরা চাই তদন্ত দ্রুত শেষ হোক ও ফলাফল প্রকাশ করা হোক।’