শেষ মুহূর্তের গোলে স্বপ্নভঙ্গ বাংলাদেশের

পয়েন্ট ভাগাভাগি করে মাঠ ছাড়ার দ্বারপ্রান্তে ছিল বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-২৩ দল। কেননা নির্ধারিত সময় শেষে যোগ করা সময়ের কয়েক সেকেন্ডই শুধু বাকি ছিল। কিন্তু শেষ কয়েক সেকেন্ড আর জালটা অক্ষত রাখতে পারল না বাংলাদেশ।
যোগ করা সময়ের চতুর্থ মিনিটে বাংলাদেশকে স্তব্ধ করে দেন বদলি নামা মোহাম্মদ এসাম আল আওয়ামী।
গোলবারের ডান প্রান্তের কোনা বরাবর শট নেন তিনি। তিন কাঠির মাঝে দাঁড়ানো গোলরক্ষক মেহেদী হাসান শ্রাবণকে তখন বল জালে জড়ানো চেয়ে চেয়ে দেখতে হলো। অথচ এর আগে ইয়েমেনের বেশ কয়েকটি দারুণ আক্রমণ ভেস্তে দিয়েছেন তিনি।
৮৪ ও ৮৭ মিনিটে নিশ্চিত গোল বাঁচিয়ে দিয়েছেন শ্রাবণ।
তবে শেষ মুহূর্তে আর পারলেন না তিনি। শেষ মুহূর্তে গোল হজমের দায় কিছুটা হলেও মজিবর রহমান জনির। কেননা ৮৭ মিনিটে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে তার মাঠ ছাড়ার পরেই চাপ কয়েক গুণ যায় বেড়ে।
এর আগে ভিয়েতনামের ভিয়েত ত্রি স্টেডিয়ামে লিড নেওয়ার দারুণ এক সুযোগ পেয়েছিল বাংলাদেশ।
তবে ৩২ মিনিটে মোরসালিনের নেওয়া জোরাল শটটা বাঁ দিকে ঝাঁপিয়ে অবিশ্বাস্যভাবে ইয়েমেনকে বাঁচিয়ে দেন গোলরক্ষক ওসমাহ আলী মোকরেফ। পুরো ম্যাচে বলার মতো আর তেমন সুযোগ তৈরি করতে পারেনি বাংলাদেশ।
এ হারে ২০২৬ এশিয়ান কাপের চূড়ান্ত পর্বে খেলার স্বপ্ন বলা যায় শেষ বাংলাদেশের। কেননা এএফসি অনূর্ধ্ব-২৩ এশিয়া কাপের বাছাই পর্বের শুরুটা হয় হার দিয়ে। প্রথম ম্যাচে স্বাগতিক ভিয়েতনামের কাছে ২-০ গোলে হারে বাংলাদেশ।
কাগজে-কলমে কিছুটা সম্ভাবনা থাকলেও সিঙ্গাপুর-ভিয়েতনাম ম্যাচ ড্র হলে সেটিও শেষ হয়ে যাবে। আর ভিয়েতনাম জিতলেও পত্রপাট বিদায় হবে বাংলাদেশের। বর্তমানে ‘সি’ গ্রুপের শেষ দল বাংলাদেশ। আগামী ৯ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশের শেষ ম্যাচ সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে।